রবিবার, ২৭ জুন, ২০১০

রীতু :: প্রত্যাবর্তন (তিন)

গোসলের ঘরে শাওয়ার ছেড়ে দিলে সরু জলের ভেতরে তুই কেন নেই
ভীষণ গরমে ঘামের মধ্যেও নেই
তুই মূলতঃ নেই রে... তুই নেই
তুই থাকবি ভেবে হেঁটেছি.. তুই বলিসওনি ভুলে কখনও
বড় রাস্তার সবচে' বড় খুঁটিকে জাপটে ধরে বলি
তুই নেই রে.. তুই নেই.. তুই নেই...

বালিশ জাপটে ধরে নদী হয়
এরপরও তুই নেই... নেই...

রীতু :: প্রত্যাবর্তন (দুই)

দ্যাখ দ্যাখ... মন দিয়ে দ্যাখ... মেপে কাটা সুতো, কড়ই কিংবা বেতসের সুবাস, কড়ি দিয়ে কেনা যায়নি বিরিশিরির ঝিরিঝিরি, ছেলেবেলা .. প্রকট উড়িয়ে ধুলো আসে, আসে সোমত্ত নসিমন, তোর আর আমার আঁচড়ানো চুলে গাঢ় রোদের গন্ধ, সে কার গল্প বল ? কে কার কথার অপেক্ষায় থাকে ? বিনুনীতে গাঁথে
অভিমান, ভাল ভাল ভালবাসা স্পষ্ট দাগে নষ্ট করে,... কে ? তুই আর আমি আর ....


তুই তো বুঝিসনি, তোর বুকে হাত দিয়ে সেকী অসুখ, বাড়ি গেছিলাম, ম'রে গেছিলাম হয়তোবা, মা টেনে টেনে গোসলে ঢোকাল, আমি চুপসে একপাশে ঘষে ঘষে তুললাম ভালবাসা, কিছু সামান্য সুখ বেরোল, ঐ অনেকটা অমন, যেমনটা দিয়েছিলি.. বারণ করেছিলি বলতে, বলবনা, ভগবানও জানবেনা, এই যা বেরিয়ে গেল হাওয়া...


ভুলেই গেছিলি, বাজে বুঝে মনে দিলাম নাড়া, ছোঁক ছোঁক করি আজও, চিনিনি চিনিনি.. শরীর বুঝিনি আজও, বিড়িটাই খেতে পারিনা ঠিক করে, একবার এক প্রেমিকার ঠোঁটে এই একদলা ধুলো, এমা, ছি,...


কেমন সুখ দিয়েছিলি.. ভাল্লাগেনা কিছু আর ...

২৭ জুন ২০১০

শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০১০

ইটের কুচির ফাঁকে ঘুমন্ত মানুষের বাচ্চা


প্রকৃত গণিত থাকে বুকের পাঁজরে
খাদ্য মেলে ভিক্ষে, ধিক্কার, প্রহারে -
গায়ের জমিনে চলে ধুলোর শাসন
জন্ম অভিশাপ আঁকা ছিন্ন বসন;
উকুনের জমিদারী চুলের শেকড়ে
আঙ্গুলের গায়ে ঘাঁ-রা গলাগলি ধরে,
অসুখ-বিসুখ এলে ঈশ্বর সহায়
সভ্য শহরে ওরা দারিদ্র্য কুড়ায়;
মন বলে অবশেষ কিছু তো থাকেনা আর
ইটের কুচির ফাঁকে ঘুমন্ত মানুষের বাচ্চার ।।


২৩ জুন ২০১০

অসুখ - ০৬


বুকের অভ্যন্তর, সহস্র স্বপ্নের গলিত শরীর
একাকার, বৈষয়িকতা বিপন্ন অসহায়
পঙ্গু জৈবিকতার দীর্ঘ নগ্ন চুল, কাব্যহীন
অবমাননার উগ্র আঘাতে, বিলুপ্তপ্রায়
ভংগুর বক্ষবেষ্টনী,
নখের আড়ালে মাংসের আদিম চিৎকার
হাঁটুর টিলায় ছোপ ছোপ কালচে উপন্যাস
ছানিপড়া অস্বচ্ছ চোখ, একা
মন এবং মগজের নৈর্ব্যক্তিক স্থিতিশীলতা
অথবা বিদ্যমান, বিশুদ্ধ শূন্যস্থান
নিদ্রাহীনতা কিংবা নিদ্রস্থুলতায়
মন - শরীর দু'ভাবেই মানুষ একা ।।


১৬ জুন ২০১০

দেহজ ক্ষুধা


ঘি-গন্ধী দেহ কাঁপে দাহ্য আনুকূল্যে
শরীরের কারুকাজে মাংসের বাহুল্যে,
অনার্য যুবতী মাতে শরীর বিজ্ঞাপনে
কামুক চোয়াল জ্বলে আদিম আস্ফালনে;
দাঁতাল পুরুষ খোঁজে শাঁসাল শরীর
নখের আয়ত্ত্বে বাড়ে ক্ষুধা সুগভীর,
সহবাসে সর্বদাই পুরুষশ্রেণী বন্য
স্থুল সুখে সিক্ত থাকে জৈবিক অরণ্য;
সভ্যতায় বরাবরই সোঁদাগন্ধী বাঁধা
ভাতের ক্ষুধার পাশে দেহজ ক্ষুধা ।।

রীতু :: প্রত্যাবর্তন


আমারও দিন গেছে, রাত গেছে
বিনিদ্র, দেহাতি বাজারে
গেছে অঘ্রাণ, পউষ আর শ্রাবণের মাস
আমিও নিয়েছি নোনাস্বাদ...
আমিও পেয়েছি
নিষিদ্ধ বর্ণ-গন্ধ
আমার প্রতীক্ষার হরিদ্রাকাল
সোনালী হয়নি
আসেনি আর মধুমাস
সে আমার জন্য নয় কোন জন্মেই...

আসবেনা মধুমাস....

ভুলে যাওয়া সুখ, ভুলে ভরা রাস্তা


ভুলে যাওয়া সুখ
ভুলে ভরা রাস্তা
ভুলে থাকা মুখ
ঘুণে ধরা ব্যবসা

চেনা চেনা
আলো আশা
পথে বোনা
স্বপ্ন বাসা

এখানে ওখানে পথশিশু শুয়ে স্বপ্ন খেলছে ধুলোয়
রিক্সাওলার পায়ের পেশীটা অল্প একটু জিরোয়
ভিখিরী বুড়োটা জানেনা এখনও খাদ্য জুটবে কখন
ওদিনে বিজ্ঞাপনের ভীড়েতে বিক্রি হচ্ছে জীবন

থেমে যে যায়
রোদের রেখা
ধুলোর গায়ে
জীবন আঁকা

দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই দ্রব্যমূল্য বাড়ে
দিনমজুরের ঘাম বৃথা যায় রাজনীতিকের ঝাড়ে
এঘর - ওঘর, শতঘর পোড়ে সভ্যতার-ই আঁচে
গার্মেন্টস ভাঙে গার্মেন্টস পোড়ে তবুও তো ওরা বাঁচে

কত ফিরিওলা এল গেল এই দিনবদলের হাটে
কত দিপালীর বুকের স্বপ্ন দারিদ্র্য এসে কাটে
সভ্য হয়েছে মানুষ কতই সভ্য হচ্ছে আরো
সব মিছে আর ভাঁওতাবাজি, সভ্যতা নয় কারো

তবুও মোরা
বেঁচে থাকি
মেঘের ফাঁকে
আকাশ দেখি

_____________
২৩ জুন ২০১০

বুধবার, ১৬ জুন, ২০১০

সময়ের প্রকৃত স্বাক্ষর


জল পোড়ে জলের গভীরে
দূরবর্তী মেঘ যায় দূর হতে দূরে
বালির শরীরে লেখা নদীর আবাদ
বিচ্ছিন্ন আকাশ গায় একা আর্তনাদ
প্রতারিত বকপাখি পুনরায় বাসা বোনে,
প্রতিদৃশ্যের নগ্ন ব্যবচ্ছেদে
ভোরের নবীন পৃষ্ঠায় দৃশ্যেরা মাতে
অনন্য বক্রতায় অস্তিত্ব বিস্তারিত
সীমিত আয়তনে স্বপ্নের প্রবন্ধ
যান্ত্রিক গুঞ্জন আর প্রাকৃতধ্বনির অসম্পৃক্ত দ্রবণে,
সভ্যতার অস্পষ্ট সিঁথিতে
নিতান্ত মানুষ মগ্ন গোলকের দ্রুতিতে
অধিক ঘুমন্ত মন গাঢ় গম্ভীর
ক্রয় আর বিক্রয়ের ফর্দে স্থবির
স্বল্পবসনা কৌতুকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিবেদনে,
মাংস রক্ত দাঁতে
ব্যবহৃত দেহ সিক্ত প্রাচীন বৃষ্টিপাতে
রূপকথা কমে প্রতিদিন
অন্ধধর্মে মানুষ বিলীন
সময়ের প্রকৃত স্বাক্ষর বর্গক্ষেত্র মনে ।।


১৬ জুন ২০১০

মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০১০

টিকে থাকা শরীর বিশেষ


গভীর কোন রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে
আকাশ দেখা ছাড়া
কোন বিনোদন নেই আর
আমরা যারা শরীর বেচি,
কত লোকজন পথে-ঘাটে বাজারে
আমরা গুণিনা, ওরা আমাদের গুণে যায়
আঙ্গুলের করে রাখা ব্যথার মুনাফা
আমরা যারা শরীর বেচে বিষ কিনি;
বাঁচার আকুতি আদিম
তাই উগরে দিই সুখ, লোকজন খায়
গায়ে পাপ ভেতরে অসুখ,
হেঁটে গেলে লজ্জায় পথ বিব্রত নিজেই
আমরা না হলে পৃথিবী হত
হয়ত আরো খানিক সুন্দর,
জন্মে গিয়েই অনন্য এক ভুল
আজন্ম খেয়েই যাচ্ছি কেবল
ফুরিয়ে যাচ্ছে বিশুদ্ধ বাতাস,
আর যেসব বৃক্ষ সবুজ শরীর
অকারণে মৃত, তাদের অবশিষ্ট হাড়ে
আকুল প্রলয় বাঁধে প্রজন্মের ছত্রাক,
আরো কতকাল বেচে যাব শরীর
আর কিনে খাব পুরাতন বিষ;
ঝিঁ-ঝিঁ ঘোষিত রাত
পাশাপাশি নিয়ন আলোর প্রতিবাদ,
কেউ তো থাকেনা, খবর রাখেনা
কেন দেবনা বুক
নতজানু হব স্বল্পমূল্যে
টুটিচাপা মন, টিকে থাকা শরীর বিশেষ ।।


(১৫ জুন, ২০১০)

শনিবার, ১২ জুন, ২০১০

প্রাথমিক নাগরিক বিজ্ঞান - ০১


সুখ কি
দুঃখই বা কি
কতটুকু বুঝি তার, কতটুকু ভান
রক্তে-ঘামে বৃত্ত আঁকে সহস্র সন্তান,
জিতে গেলে একজন হারে অন্যজন
ভীষণ নাগরিক যুদ্ধে ক্ষমতা প্রদর্শন
কেবল অসহায়ত্বে দুর্বলের-দরিদ্রের,
খাদ্যে অলঙ্করণ বেশি, পাশাপাশি
স্বল্পমূল্যে নিয়মিত ভর পরিমাপ;

সেইসব ক্ষমা, যা শুধুই সহজলভ্য ভিক্ষুকের হাতে
সেইসমস্ত আশা, যা বিদ্যমান জ্যোতিষীর অতশীতে
তীব্র আন্দোলন, যা দানা বাঁধে রিকশায় - মিনিবাসে
খুচরো পয়সার আক্রোশে যথারীতি
স্টিয়ারিং হুইল অপেক্ষা হর্ণের উপযোগিতা বেশি,
পুঁথিগত অন্ধ চেতনারা স্থূল সাজপোশাকে পুঁথিতেই পচনশীল
সহাবস্থানের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে প্রযুক্তি আর মানবতা
এক অন্যকে কষে লাগাচ্ছে চড়, অকারণে;

বিরহ-মিলনের প্রকৃত বিভেদ
বোঝাবে কে, কাকে
প্রাপ্তি দূরবর্তী, ভালবাসার যোগ্যতাই কে রাখে !
কষ্টের খুব কাছে এক বিন্দু ভালবাসা
জমে থাকে, কোন ভরসায় !!


(১২ জুন ২০১০)

শুক্রবার, ১১ জুন, ২০১০

অসুখ - ০৫ (১১ জুন ২০১০)


ছোপ ছোপ ঘাস ঝোপ সরু মেঘে বেমানান জল
ইট-বালু-কন্ক্রিট ঘুরপথে মৃতকাক কুকুরেরা চঞ্চল
নানা সুখে হাসিমুখে উড়োচিঠি অশ্রুতে অভিমান খয়েরী
মিনিবাসে সিগেরেটে পুরাতন পোষাপাখি ভুলে যাওয়া ডায়েরী
চকোলেট মিহিদানা মিল্কশেক দাঁড়িটানা ছেঁড়া জুতো
শেষছড়া চেনাগানে নবনীত ব্যাকরণে সুধীজন ছাইছুতো
প্রুশিয়ান ঈশ্বরী নতজানু অবতার নীরবতা কামনার
আলগোছে লাল বলে মৃত্যুর স্বচ্ছতা শূন্যতা সংসার
চড়াইয়ের ঘুলঘুলি বুনুনীতে হাতঘড়ি নীল কাটে উড়োযান
সরকারী অভিশাপ পথঘাট খালময় ঘুড়ি খোঁজে পরিত্রাণ ।।

বুধবার, ৯ জুন, ২০১০

একটি মাইক্রোস্কোপিক টেডিবিয়ার চাই


আকাশ একটি নীল মলাটের নাম
এই ইতিহাস মেয়েটির ছিল জানা,
বৃষ্টি মানেই আকুল কান্না কোন
মেয়েটি সেও বুঝে গেছে এতদিনে,
জানতে জানতে বুঝতে বুঝতে
বিষাদের প্রেষণায় চুপসে
মেয়েটি হয়েছে ক্ষুদ্র, এত্তটুকু;

ভয়ানক এই ক্ষুদ্র মেয়েটি
যায় চলে যায়,
উথাল-পাথাল কষ্টে দুলে
মেঘের ছায়ায় একটু দাঁড়ায়,
জাপটে ধরে কাঁদার জন্য
এই মুহূর্তে
তার প্রয়োজন
একটি মাইক্রোস্কোপিক টেডিবিয়ার ।।

শুক্রবার, ৪ জুন, ২০১০

অবশিষ্ট হাড় - ০৫ (০৩ মে ২০১০)


মস্তিষ্কের কোথাও না কোথাও আবেগ থাকে
আর থাকে বৈষয়িকতা, তাদের মাঝামঝি কোনমতে টিকে থাকে ভালবাসা
বিমানের পর্যাবৃত্ত ঐকতানে কেঁপে ওঠে আকাশ,
বৃষ্টি হবে, হবে না, হয় না, এলোমেলো গল্পরা বাঁধবেনা উপন্যাস
মানুষের পচনশীল সভ্যতায় সংবেদনশীলতার নিখোঁজ সংবাদ
বাণিজ্যিক কবিতার নীচে চাপা পড়া সৃজনশীলতার গলিত লাশ;
নগরীর দূষিত নদীসমূহ অমৃতবিহীন মৃত-প্রায়,
নেহাত বৃষ্টিতেই শহর সাজে হঠাৎ ভুল ক'রে, ভুল ভাবে
নাগরিক চড়ুইবৃন্দ, যাঁরা সভ্য মানুষের পাশাপাশি বিদ্যমান
তাঁদের ঠোটময় উড়তে থাকা সামান্য খড়, বাসা বুনবার;
মানুষ প্রয়োজনে পাল্টায় ঠিকানা, পাল্টায় জীবন-ধরণ
ভোগবাদের মশলাযুক্ত খেলায় জৈবিকতার স্থূল আস্ফালন
পুরু বস্ত্রে সজ্জিত অতিসভ্য মানুষ অপেক্ষাকৃত কম সভ্য মানুষকে
ফেলতেই পারে অ-নেক নীচে, সভ্যতার চূড়া থেকে এক ধাক্কায়
এ দৃশ্যায়নের অভিনেতা সবাই, কেউ কেউ পরিচালক ।।

অবশিষ্ট হাড় - ০৪ (০৩ মে ২০১০)


সূর্যের স্বেচ্ছাচারিতায় ভোরের নতুন নাম সকাল
মেঘসংক্রান্ত আড়াল সত্ত্বেও কমতি নেই উষ্ণতার আভিজাত্যের
একপেশে সুখকে আটকে রাখা দশ-বারোর এই ঘর
বাথরুম-বারান্দায় চেনা সমীকরণ
চিরচেনা ফেরিঅলাদের আনাগোনা বাড়তে বাড়তে
তেতে ওঠে গনগনে রোদ
তখন তার নাম হয় দুপুর;
বিপ্লবের ঘনিষ্টতম অধ্যায়সমূহ আজও শিরোনামহীন
ভান করে বাঁচা বিপ্লবীরা প্রত্যেকেই ধূমপায়ী
উনারা বিপ্লব জ্বালিয়ে ধোঁয়া নেন,
গোবেচারা জনসাধারণ ঘুমন্ত চোখে পত্রিকা দ্যাখে
মাংস দেখে লোল টানে
রক্ত দেখে শিউরে ওঠে ।।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০১০

অবশিষ্ট হাড় - ০৩ (০৩ মে ২০১০)


একা কোন গাছের শব্দ নিঃশ্বাস
একবাক্যে জানায় ক্ষুধা সর্বনাশ
এখানে শীতের প্ররোচনায়
উত্তপ্ত গ্রীষ্মের ভালবাসা কড়া রোদ
তারপর এক অনিবার্য শীতল অধ্যায়
যাকে সন্ধ্যা বলা যায়;
কাকে বলে সুন্দর
সুন্দর কি এই জিজ্ঞাসা
বোকা বলে, জগতের যাবতীয় অভিবাসী
ওরা কিন্তু ঠিক বলে ভালবাসি
সুযোগ পেলেই
তারপর কামড়ে আনে সরলতা;
মানুষ বোঝার অপচেষ্টা নয়
মানুষ বড়ই বাজে বিষয়
একা খাবে, একাই খাবে
নিরীহরা হতাশ এবং নির্বিকার
অনেকটা আমার মতন;
কে জানে, কতবার ভুল করে সমুদ্রের হাওয়া
বাড়াবাড়ি হচ্ছে জানি
সে এক ঘুমের ইতিহাস,
রাতের অশ্রুদের রঙ বোঝা জরুরী
খুঁজতে হচ্ছে হাড় অবশেষ ।।

বুধবার, ২ জুন, ২০১০

অবশিষ্ট হাড় - ০২ (০২ জুন ২০১০)


বাতাসের সচেতন চলাচল, দুপুর দুর্বল
চেতনার প্রপেলারে শম্বুক গতি
নিরাবেগ শরীরময় স্থিতি
সভ্যতার দীর্ঘশ্বাস তবু শ্রাব্য;
আযানে, আহবানে তাল দেয় বিমান সংগীত
বারান্দায়, হাওয়ায়, দরজায় কাঁপা কাঁপা আর্তনাদ
রিকশা টুং টাং, মটরচাকায় ঘষটানো অভিমান
খুটে খাওয়া ছেলে, দুটো টাকা পেলে
পাউরুটি, ছোলামুড়ি, পোকা খাওয়া আপেল;
সমান্তরালে বিদ্যমান বিপুল, প্রাচীন দোকান
মহাজনী ফর্দের আনুষঙ্গিক ফাঁকিতে
রুচিশীল, সামাজিক, অভিশপ্ত ব্যবসা
কখনও কখনও অন্দরের অপ্রত্যাশিত ডাকে
মানবিক কষ্টে গড়ি অলংকার
এরই মাঝে এক মুঠো সুখ দিল কেউ, নির্ভরতার
বাতাসের মন, ভুলের শরীর, তার ।।

অবশিষ্ট হাড় - ০১ (৩১ মে ২০১০)


রোগাক্রান্ত দুপুর,
আবেগের রেখাগুলো প্রান্তিক মেঘকে ছাড়িয়ে বিমুক্ত আকাশের দিকে,
নিজস্ব অবশিষ্ট হাড়, উইপোকায় কাটা ডায়েরী সংক্রান্ত পরিমিত অনুভূতি,

সম্পর্কের দেয়ালগুলো এখানেই ছিল দন্ডায়মান,
আজ কিছু ফণিমনসার শরীর, আর বিষণ্ন শুকনো এক ফুল,
মাটিতে গাঁথা পুরনো ছুরিটা মরচেধরা,

কেউ বোধহয় দেখেনি, পালানো যাক তবে... এ জন্মের মতো ...