শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১২

স্বপ্ন তাহার দীর্ঘ আঙুলে হৃদয় বাজায়

নিহত সরিসৃপের দুর্দান্ত যাতনা
সে মন আর দাঁত খুঁজে পাচ্ছেনা
পৃথক বাক্য, পৃথক অভিজ্ঞতা
তুমুল লজ্জিত হবার পর পশুর মতন ভাল থাকা
আর এই অসাধারণ কোকের বোতলের ভেতর
সবই সুন্দর, এমনকি তার হাসিও

ছোঁয়াচে আবেগ যে বাস্তব মানুষটাকে করে দিল অবাস্তব
যে ওয়াসাবি পি-নাট হাতে, বাদুড়কে দিয়ে মহাকাব্য লিখিয়ে নেবে,

কেননা আমাদের কবি
স্কয়ার স্ফটিক দেখতে পান না আর্গনমিক এঞ্জেলের পাঁজরে

বিবিধ কল্পনায় রেডিও আমার বিল পার হয়
শিশির টিকে ছিল মিলিয়ে যেতে

কবির মৃত্যু হলে নিচ্ছিদ্র মেঘ, বৃষ্টিবিহীন

পিচ্ছিল পৃথিবী, কিছুই যে ধরেনা তার গায়
বাক্যেরা 'বোধ' হয়,
পরিবাহী অনুভূতি বুকের গভীর ছোঁয়,

কপালে হাওয়ার আল্পনায়
পাখি হয় বিমূর্ত কেশ, কবিতার ঝোড়ো আবহাওয়ায়

কবির মৃত্যু হলে নিচ্ছিদ্র মেঘ, বৃষ্টিবিহীন
শিখি ভাষা
যতদূর হৃদয় হেঁটে যায়
রক্তিম আকাশের নীচে
অতঃপর; আবেগের নিটোল বিন্যাস

শিরোনামের কুয়াশায় নিখোঁজ ছিলাম মুহূর্ত কয়েক
তবু শেষ ঢেউ তুমুল উঁচুতে

এক একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য শব্দকবিতা

কবিরা জেগেছে বলে
প্রেম ফিরে পাবে তার
হারানো আস্তাবল
ক্ষিধে খুঁজে খুঁজে শৃগালকে পাবে
সিংহ খুঁজে খুঁজে শিকার কুড়াবে
তারপর পাঠক আর মৌমাছি
ঠিক ঠিক মেলাবে
ঠিক ঠিক মেলাবে

স্খলন আসবে, সংকট আসবে
দ্বিধার কারুকাজ রাজত্ব গড়বে
এইসব ঘুম, এইসব জাগরণ বিষ
মাছের শেকলে বাঁধা কুয়াশার শিস
নদীর অধরে ঘুম, প্রাকৃত জোছনার সাধ
সোনারোদ স্নায়ুকোলাজ বুদবুদ
প্রতিটি শব্দ এক একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য শব্দকবিতা

তোমাতে প্রতি-বাদ দিই প্রিয়তম মানুষ

দেখা হবে ভেবে ট্রাম ভুলে যাই,
গার্ডার গুলো খুব কড়া, ছাদ গিলে আছে
নেমে যেতে হবে, না নেমেই হয়তোবা,
অথবা বিশ্বাস আবারও এক শূন্য বাকশের নাম

বাইনারি ভুল, বায়োনিক খেসারত
ডানায় কাজল দিতে হয়
শব্দের সন্ত্রাসে বাক্যরা রক্তাক্ত, হয়তোবা সময়ের দাবী !
এই ঘোর ছিঁড়ে ছুঁড়ে পড়ি
ধুকধুকে হরিণ
এরপরও সেই সব অমানুষ, যারা পারে
আকার কী তবে বাড়ি যাবে !
সাফারি-সাফারি
শেষে ক্লান্তি-শিশির জমে
আজুর-ভেলভেট লনে
শেষ দাবানলের আগে
থামলেই পৃথিবী থেমে যায়,
কখনও কখনও সময়ও, কে নেবে নিঃশ্বাস!
চাঁদভরা ঝিঁঝিঁ রাত, পুঁথির কণ্ঠে ফোটে ছন্দের প্রাচীন আবাদ।

চকমকি হাড়ের বনে মেঘের আগুন

বড়ো বাস উড়ে যায়, রাস্তাটা শান্ত
এই অনিশ্চয়তাটুকু আছে বলেই আঙুল নাড়াই
প্রাকৃত আকুতি গভীরে হানে শর
কখনও সে গাঢ় ইট, দুর্বোধ্য ফসিল।
পৃষ্ঠায় কোণায় বিষ, অদৃশ্য খাঁচা
প্রকৃত অপচয়, বিচ্ছিন্ন সন্ধি। উপসংহারটাই ধোঁকা
স্পষ্টপাঠ, ঘামেদের অক্ষরের
অন্য-স্বাদে সিলাকিত জিব, ধারালো নখর কাঁপে সূর্যমূখীতে
অপেক্ষা জীবনের অন্যতম নাম, অপেক্ষাই ইতিহাস
অপেক্ষাই গড়ে দেয় আকার অস্তিত্বের, মানুষের ভেতরে মানুষের
অতীতের নিঃশ্বাস পড়ে
ক্রমাগত ভাঙ্গন বিহারে
বাক্যরা ক্রমশঃ গাঢ়
বিষাদের উচ্চারণ তীব্রতর
ঝরে পড়া বিভিন্ন পথে, কেবল বাতাসে

জীবন মানে তো
এক জীবনকে হাতে ধরে আরেক জীবনের হাতে তুলে দেয়া
অধিক বিয়োগে ভাগ হয় জীবন
তারপর চকমকি হাড়ের বনে মেঘের আগুন।

ভেজা ইস্পাত ভ'রে ওঠে ফভিজমে

আকাশের হাজার হাজার ফোঁটা কাঁধে নিয়ে ঘরে ফিরে
ভিজে গেছি আর
চশমার কাঁচে বৃষ্টির বিশেষ দৃশ্যায়ন
পৃথিবী যথেষ্ট বাস্তব এবং স্বপ্নময়
শূন্য কিংবা অসীম

বেলাভূমি
ছিমছাম হেঁটে হেঁটে সুদূরে রেলপথ, রোদের ডগায়
ভেজা ইস্পাত ভ'রে ওঠে ফভিজমে
অথবা যুক্তি বানাই
প্রাকৃত মেঘের ভেতর, বিশুদ্ধ বিদ্যুৎ
কোটি কোটি ঘুম আর স্বপ্নের করাত
পুরাতন ধারাপাত
অতসীর রিং প'রে নাচে
কালচে রিংরো, হলুদ ডাবের পাশে
অন্য অন্য ভাষারা কেবল পৃষ্ঠা খোঁজে
ভেসে থাকুক সময়ের সখা

ধীরে ধীরে বড় হয়ে একদিন
ইটে বসে
তুমুল খিচুড়ী খাবো

নক্ষত্রপতনের রাত

বেলভ্যু থেকে একটি হাওয়া উঠে এলো
ম্যানহাটনের আকাশকে ছুঁলো,
কী যেন বড্ড এলোমেলো
সে কার শেষ নিঃশ্বাস !
অবশেষে এলো বুঝি নক্ষত্রের রাত, নক্ষত্রপতনের রাত
আজ রবিবার নয়, তবু হোক রবিবার

সেইসব সরল কৌতুকের প্রকৃত মানে, যাবতীয় অভিমান মেঘ
গভীর শব্দগুলো, যদি কোনদিন সত্যি বুঝতে পারি
আড়ালের কথাটুকু যদি ধরতে পারি মন-মাথায়, আগামী কোন শতাব্দীতে
আমরা জানিয়ে যাবো প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে
কৃতজ্ঞতা হে অগ্রজতর

 

সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১২

পৃথক জ্বলন্ত অক্ষর


পৃথক জ্বলন্ত অক্ষর, পারবেনা
অভিমানে তার সেতারের তার
জীবনের ভরাট প্রতিবাদে ধরে ক্ষয়, বিস্ময় বিস্ময়
আকাবাঁকা বোধের শাখায় মৃদু দোল, পৃথিবী আকুল
তবে কি অন্ধত্বের সাধ টুপটাপ জমে ওঠে
ভরে ওঠে আবেগী সন্ধ্যায়, ভাটির আশায়

সব কথা না লিখলেও হয়
কবিতার ভেতর 'প্রেম' লিখতে ইচ্ছে
কেউ একজন বুঝে গেছে, সেই সুখে
ছন্নছাড়া জল দেবে মেঘ
ঝরণা কিংবা নদীবুকে
আয়না-দুপুরে, দূর থেকে ডাক দিল শঙ্খচিল,
সংঘ হতে
এইবার বিনুনীতে কাঁটাফল, সহজ-সরল
তারিখ দৌড়ে যায়, মায়ান ক্যালেণ্ডারে
ঘোরলাগা মস্তিষ্ক জানায় আমার একান্ত উচ্চারণ -
বাঁচো, বাঁচাও, স্বপ্নকে শরীর দাও
যুক্তিবাদীর প্রবেশ, ধানশালিখের ছুটি
শহরের
বুক বেয়ে
একদিন
রক্ত গড়াবে গাঢ়

আয় আয় সুখ-দুঃখের প্রচুর ঊর্ধ্বে, প্রাচীর শুকোবি
ফেরায় এমন সাধ্যি কি আছে !

সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১২

সত্যি সত্যি ভিজে যাক সব

মায়াবৃক্ষ বিনীত
এক ঘুঘু আরেক ঘুঘুর মাথা ঠুকরে দেয়, তারা রান্না হয়ে যায়
তবু বেঁচে থাকা দরকার

সত্যি সত্যি ভিজে যাক সব
দূর্বারা ভয়ানক রক্তিম, হাওয়া থেমে যেতে যেতে স্বেচ্ছাচারী হয়
ভীষণ গুরুতর ব্যাপার

সময় সাক্ষী থাকে দগ্ধযুগের
স্বচ্ছ-মরণ কিংবা ঘোলা-মৃত্যু, ভেসে যাবে নিশ্চয়ই
নিঃশ্বাস চেপে একসময় বাসে উঠে একাকার
কিছুটা স্বেচ্ছাচারী কিছুটা অহংকারী
খণ্ডিত ঝুম বৃষ্টি এলে
ক্লাইমেক্স চাই, ঢের আছি বাকি

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১২

কগহুইল ফিরে আসে ভেতর বারান্দায়

শুরুতে তোর নাম দিতে চাই, নিবি !
চূড়ান্ত প্যাকেটজাত, বোতলজাত, রুলার-কম্পাসে পরিধি
কগহুইল ফিরে আসে ভেতর বারান্দায়

এতটা তীব্র নই যে তুবড়ে যাবো,
মাথার ভেতর দাগ, চুঁইয়ে চুঁইয়ে গভীরে হীরকনগর;
এ একধরণের চোখ বন্ধ করে থাকা,
বোধ বলে রেলের পথ কত দ্রুত ! পতঙ্গের চোখে
টের পাইনা বলেই বুঝি
পুড়ে যায় শিশিরের পুঁথি
আগুন কামড়ে ধরে,
দাউদাউ পুড়ে যায় বরফের দাম
শেরপা শব্দে লেখো পিলপিল
ছুরির দাঁতের মত ছোঁয়া
কী নিষ্পাপ বাক্যরা ! এখানেই কি শুদ্ধ হবো !
পাণ্ডুলিপি তার পাণ্ডুর ডানা ঝাপটায়
শিশির মরে যায় অবেলায়
শূণ্যই তবে অসীম !
সরল উচ্চারণে বুক কেঁপে ওঠে
আজ রাতে কবি অক্সিজেন, কবি জলজ

______অ_
জুন, ২০১২

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২

ভুল বিজ্ঞানে হাসে ধান

কখনও কখনও তাই, যদি আয়োজনে বাঁধতে যাই
এরপরও ঠিক করে কওয়াও তো মুশকিল
পিচ্ছিল পৃথিবী, কিছুই যে ধরেনা তার গায়

দেখতে দেখতে
বুঝি উড়ে আসে স্নিগ্ধ লোবান
জাতিস্মরের সাধ,
ভুল বিজ্ঞানে হাসে ধান
চিরায়ত নদীর বিধান
সভ্যতার ধারালো পাথরে আহত আমরা, এই তো চাই
প্রতিটি শব্দ হোক একেকটি পূর্ণদৈর্ঘ্য শব্দকবিতা

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১২

এত আলো প্রয়োজন নেই


এত আলো প্রয়োজন নেই, আঁধার উপাদেয়
ঢেকে দাও নক্ষত্রের শরীর
যদি লুফে নিতে হয়
হেমলক অথবা হলাহল সেও রাজি
থামতে বলো পৃথিবীকে

উড়ে যাচ্ছে স্বপ্নের পৃষ্ঠারা, তীব্র বাসনার
অতিপৃক্ত অভিমানের কষ
নীরব হচ্ছে হৃদয় ক্রমশঃ
আর কোন শব্দ হবে না

ক্রমশঃ প্রার্থীরা অগণিত
রক্তের পিপাসা বাড়ে, নাব্যতা নেই
থেকে থেকে হেরে যায় নদী
তাকে তুলে আনো বারান্দায়
রোদ ঝরে যায়, মরে যায়
আর কত দেরী হবে তোমার

এদিকে
সীমাহীন বাণিজ্যে কেবলই অপহরণ
কতটা দুর্লভ আজ আকাশ
কতটা দুর্লভ আজ আকাশ
ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে রঙ

কখনও কখনও মনে হয়
প্রযুক্তিকে, সভ্যতাকে না-করে দিই
না-করে দিই, আর পারা যায় না
মাঝে মাঝে ভাবি ছেড়ে যাবো দাবার ছক
বুদ্ধিবৃত্তিকে আজ বড়ো অসহ্য লাগে
বেমানান লাগে,
আর কত দেরী হবে তোমার
দুলে দুলে কেঁপে উঠছে অপেক্ষা
দুলে দুলে কেঁপে উঠছে অপেক্ষা

অদ্ভুত
আজও পৃথিবীকে উল্টো দেখতে ইচ্ছে করে


ঘুড়ি উড়ে যায়

ছেঁড়া মনে চেয়ে থাকা সাদাটে আকাশ
ধুলো রোদে পেকে ওঠা হেঁয়ালী বাতাস
ঘুড়ি ওড়ে না, ঘুড়ি ওড়ে না
ঘুড়ি ওড়ে না কখনও ঘুড়ি ওড়ে না
অজস্র তার, তারের মিছিল
আকাশকে টুকরো টুকরো করে যায়
ছেঁড়া মনে শুয়ে থাকা টুকরো আকাশ
ধুলো রোদে বেঁকে যাওয়া ছলনা বাতাস
একা করেনা, একা হতে দেয়না
একা করেনা কখনও একা হতে দেয়না

বিদ্যুত আসে যায় আঁধারকে টানতে
শহরটা পাল্টায় হঠাৎ অজান্তে
আলো আসে আলো যায় বাঁধা পড়ে জানলায়
রঙমাখা মুখগুলো সংলাপ আওড়ায়
দ্বিধাহীন মৌমাছি শপথের গান ভুলে
এলোমেলো এলোমেলো বাকহীন কোলাহলে
নাটকের হাতে হাত, সংসার টিকে থাক
মানুষ বাড়তে থাক, ভালোবাসা লেখা থাক

নাটকের হাতে হাত,
সংসার টিকে থাক
মানুষ বাড়তে থাক,
ভালোবাসা লেখা থাক

ভোর হোক ধুয়ে যাক আঁধার কালো
আলোর ডানায় উড়ে আসুক আলো
ঘুড়ি উড়ে যায়, ঘুড়ি উড়ে যায়
ঘুড়ি উড়ে যায়, বেঁধে রাখা যায় না
সাদাটে আকাশ
হেঁয়ালী বাতাস
পুরোটা আকাশ
প্রবলা বাতাস

একা করেনা, একা হতে দেয়না
একা করেনা কখনও একা হতে দেয়না



সরে সরে যাচ্ছে জানালা

সরে সরে যাচ্ছে জানালা
সরে সরে যাচ্ছে আকাশ আর
আমাদের চোখ যেন বুঁজে আছে একা
সরে সরে যাচ্ছে পৃথিবী
সরে সরে যাচ্ছি আমরা
এক একটা দ্বীপ যেন শুয়ে আছি একা
সরে সরে যাই হতচ্ছাড়া

সভ্যতার হাতে বাঁধা আছে আঙুল এবং সময়
প্রযুক্তির সাথে গেঁথে অনুভূতি হৃদয়
যুক্তির ষাঁড় যা যা লিখে গেছে ইতিহাস তাতেই
খিদে পাওয়া জিব শুকিয়ে ওঠে অস্তিত্ব কি নেই
সরে সরে যায় ভালবাসা

সরে সরে যায় ভালবাসা
আমাদের মিথ্যে কুয়াশা
এক একা বুক যেন ব্যবহারিক খাতা
সম্পর্কের সমাকলনে
আদর্শগত ব্যবধানে
চাহিদির বৈপরিত্য আর
প্রতারণার চাবুক
মূলধনহীন ব্যবসানীতি
অবয়বহীন প্রতিকৃতি
ন্যায়-অন্যায়ের দ্রবীভূত স্বাদ
মাথা ও মন শিখুক
সরে সরে যাচ্ছে চেতনা

সরে সরে যাচ্ছে চেতনা
যাচ্ছি কোথায় তা জানিনা
দাবার চাল ভুল হয়ে গেলে
আবেগে ভুল হয়ে গেলে
হিসেবে ভুল রয়ে গেলে
গণতন্ত্র খাটেনা

সরে সরে যাচ্ছে জানালা
সরে সরে যাচ্ছে আকাশ আর
আমাদের চোখ যেন বুঁজে আছে একা
সরে সরে যাচ্ছে পৃথিবী
সরে সরে যাচ্ছি আমরা
এক একটা দ্বীপ যেন শুয়ে আছি একা
সরে সরে যাই হতচ্ছাড়া



______অ_
০২.০২.১২

আয়রে আয়রে আয়রে দিন

আয়রে আয়রে আয়রে দিন
আয়রে আয়রে আয়
আয়রে আয়রে আয়রে দিন
আয়রে আয়রে আয়

রঙ নিয়ে আয়
প্রেম নিয়ে আয়
নিয়ে আয় ঘ্রাণ

স্বপ্ন নিয়ে আয়
ইচ্ছে নিয়ে আয়
নিয়ে আয় প্রাণ

আয়রে আয়রে আয়রে দিন
আয়রে আয়রে আয়
আয়রে আয়রে আয়রে দিন
আয়রে আয়রে আয়

রঙ ~ প্রেম ~ ঘ্রাণ


স্বপ্ন ~ ইচ্ছে ~ প্রাণ


এখন সন্ধ্যা হবে

এখন সন্ধ্যা হবে
হাজারে হাজারে পা
পৃথিবীর পথে
আলাদা আলাদা প্রাণ
ভীড় করে শয়তান

এখন এখন


অচেনা পৃথিবীতে
সুখেরা প্রতিরাতে
কোনো বুক নেই
বুক থাকে নাতো
কোনো চোখ নেই
চোখ আঁকেনাতো (২)

এখন রাত্রি ফুরাবে
হাজারে হাজারে তারা
আলোতে হারাবে
একেলা একেলা দহন
বিস্মৃত প্রতিক্ষণ

এখন এখন

কালোভরা দরিয়ার
চেতনারা ডুবে যায়
ষড়রিপু ডাকে আয়
মহাকাল সরে যায়

কোন তেপান্তরে
স্বপ্ন ঘর করে
বৃষ্টি ভেজায়
মেঘ নেই তবু
জোছনা ভরায়
ভিজে জবুথবু

এখন এখন সন্ধ্যা হবে
হাজারে হাজারে পা
পৃথিবীর পথে


এখন এখন

বাউরা-বাহার

বাতাসে সাবান
সাবানে শরীর
জল আসে জল যায় ছলাৎ ছলাৎ
মোচড়ায় চানমণি, তড়পায় মণিচান
কালো চাঁদ খান খান, জ্বরঘোরে কাতরায় কঙ্কাল বুড়াচান

ভাস্কর্যের পা
ভাস্কর্যের হাত
ভাস্কর্যের নখ, পাঁজরের হাড়
গুণি গড়ে কড়ি তার
ক্ষয়রোগ ঘর করে
সঠিক শরীরে
নেশায়-আশায় কাল-ফুসফুসে
ঘষটে ঘষটে যায় পাঙ্গাস-চালান
তরল আগুন-ফেনা উথলায়ে যায়
চানমণি মোচড়ায়, মণিচান তড়পায়
থিকথিকে জলজ ব্যথায়,
কঙ্কাল আছড়ায়
পুরাতন বোটকা জমিন,
জমিনে শোলোক লেখা, হাজারো রঙিন
কঙ্কাল হেসে ওঠে আওয়াজ বিহীন

হুঁশ আসে তার, হুঁশ যায় তার
বাপ-মা'র সাধে দেয়া নামের বাহার
বাহারে-বাহার, দুইমুঠি ভাতের আছাড়
কামড়ে-তুবড়ে করে বাউরা-বাহার

নিপুণ হাতের রগ - বাউরা
নিপুণ পায়ের হাড় - বাউরা
নিপুণ নখের গান
প্রমিত দাঁতের শান
"একে স্টেজে তোলা হোক, জনগণ গিলে খাক, শ্বাসজীবী ভাস্কর্য"
সকলই বিকায়ে যায়
পোষা ক্ষয়রোগ তার বিকায় না আর

চানমণি মণিচান, সুনসান সুনসান
বেমক্কা উথাল পাড়ে, কাঁদে ভগবান
বাউরা তলায়ে যায়, তলায়ে তলায়ে ওড়ে
উড়তে উড়তে বাড়ে শরীরের হাড়
সাতনরী হার, কাহার কল্পনার
কামে হাঁসফাঁসে জলে-জল মেশে
ভেসে আসে বাউরা-বাহার
লাউয়ের ডগার জল বিসর্জনে হাসে
বাউরারে রাত টানে, বাউরারে টানে ক্ষয়রোগ
খুকখুক কাশির হিসাব, ভগবান করে ভোগ
চপচপ চূড়ান্ত-নির্যাস, চানমণি হাহুতাশ

রাতে রাত বাড়ে, বাউরার ডাক আসে
কাঁচা কাঁচা রেয়নের ওইপাড়ে
মাতাল চৌকিদার খাকীর ভেতরে
বাঁশির চিৎকার থেকে লালার শীৎকারে
অবিকল বেজে চলে বাউরার শৈল্পিক কানে
ঘাউরা বাহার, "কনে দিমু পৈতৃক নামখান আমার!"
"বাউরা আমার, বাহার আমার"
নাকিসুরে গান ধরে অমাবস্যার হাড়
"সহস্র নিশি গেল ধোঁয়ার ভাগাড়ে,
বাউরাও মোচড়ায়, আহারে, আহারে"
দীর্ঘ রাতের ঘাম টুপটাপ মেশে আযানে আযানে
"আবার টেম্পো চরে, রিকশারে সিটি মারে"

হতভাগা কঙ্কাল, বাউরার কঙ্কাল থেমে যায়
থামতে থামতে ভাবে,
"কে টানে কলের হাতল,
কার চোখ লেপ্টে কাজল,
কার বুকে ফাল্গুন ভরামাস,
ছেলে তার বউটারে কতখানি রাখবে,
বংশের বাতি - সেই নাতি, যদি সাজে হারামজাদা,
কূলরেখা কই, কিসে ঘোঁসঘোঁস খায় বাষট্টির জীবন তাহার,
কত কত বিদ্যুত গতরে গতরে,
কত কত সুরমা, কত কত সিনান
কত কত মাগুর-চালান..."

বাউরার লাশ খায় কিরীটের বাচ্চা, বেগানা ল্যাম্পপোস্ট সাচ্চা
তারপর, পুনরায়,
বাতাসে সাবান,
সাবানে শরীর,
নর্দমায় নর্দমায়, নানান ফেনা সাঁতরায়
আলাদা আলাদা ঘ্রাণ, মাংসের বাস্তব বাগান
বাউরারে গিলে খায় সাদা ভুত
বাউরারে গিলে খায় কালো ভুত
মণিচান কান্দে, চানমণি কান্দে ঝালের অপেক্ষায়
ভগবানও কান্দে প্যাটের যন্ত্রণায়

আহারে এমন স্পেসিমেন
মরণের ওইপাড়ে, ডাক্তার উড়ে আসে হাজারে হাজারে
আহারে এমন স্পেসিমেন
"নিপুণ কণ্ঠনালী স্পেসিমেন,
নিপুণ শ্বাসের থলি স্পেসিমেন,
নিপুণ পাকস্থলি স্পেসিমেন"
ক্ষয়রোগ সুখে আছে বাউরার গায়, বাউরা ঘুমায়
নার্সেরা মোচড়ায়, ডাক্তার তড়পায়
নবীনা ব্লেডের ধার সশব্দে চিল্লায়
বেহেশতী ফরমালিন কাহাদের গিলে খায়
ঘুমা তুই বাউরা - বাহার
ঘুমা তুই বাউরা - বাহার ।।


____অ_
মে, ২০১২

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১২

তীব্র ঘচটুতম্প

তোরা প্লাস্টার খাস
ঘেন্না কমাস
স্কুলে যাস

তোদের লেজ ভালো না
বার্লিনের বন ভাল

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১২

সবুজ পিলাস্টার

কোন এক পাথুরে যুগ ছিল
যখন প্রচুর ভারে নুয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে আকাশ দেখতে হতো,
আজ বহু শতাব্দী পর এত বেশী নির্ভার যে
ধনুকের মতো বেঁকে
আকাশকে বুকে ধরা যায়
সবুজ পিলাস্টার
আমার জমানো সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেছে বারোয়ারি দোকান
নীল আর গোলাপী তাকের ভীড়ে -

কতোরকম পৃথিবী আমাদের ।।।

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

তুই আয় [২]

বিধাতার কলতলায় নাঙা হয়ে নৃত্য দিবি
যৌথ ভাটে পিষে যাবে লহমা লহমা ময়দান
তুই তোর আঙুল কাটবি আমায় দিবি বাজাতে
বেঁধে ফেলে শুয়োরের লেজ শ্বাস বন্ধ করে -
নাক কেটে দু'ভাগ করে, লিখে রাখব ভুলে ভরা নামতা
তুই থেঁতলে যাবি তেঁতুলের আচারে
মাখামাখা তেলে ইতিহাস পাঠ পিঠ চুলকে
বিব্রত দেবতার মতো সরে যাবে উড়ে যাবে
তোর বুক খুলে রেখে দেবো
তুই কাদাকাটা ভুলে উড়ে আয়
ফড়িঙের সুতো খুলে দেবো, বাঁধবোনা আর
দুপুর ঘুমিয়ে যায়, তুই আয়
।।।

_____অ_
৮.৪.২০১২

তুই আয় [১]

লিখে লিখে একদিন তুই বড় হবি খুব
তোর জুতোতে পণ্ডিচেরি এলগরিদম বিলবোর্ডকে চুমো খাবে,
তোর কপাল ফেটে লাল বেলুন উড়বে ব্রিকলেন-বাতাসে
তুই তোর রেইনকোট খুলে ফেলে চলে আয়,
তোকে নিয়ে সিনেমা বানাতে যাব হংকং;
চলে আয় আমার বাড়ি
তোকে খাওয়াবো ডাকাতি করা রাম,
আমার বিষণ্ন পাখনায় তুই রক্তবমি
তোর যাদুর জুতোজোড়া আমায় দিস
আমি তোকে কাদা দেবো উরুতে
তুই চলে আয় খুব রাতে
খুন করবো তোকে।।।


_____অ_
৮.৪.২০১২

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

পৃথিবী নিঃশ্বাস পাক

পৃথিবী
জানলা খুলেছিল সবার আগে
আজ
অতিকায় ধ্বংসস্তুপ তার আঁধারে
পৃথিবীর দেয়ালে
নখের আঁচড়
ভেতর পৃথিবীর স্ফটিক শরীরে দাগ
পাথুরে রুমাল
যন্ত্র ধরেছে,
ঝুলছে আধুনিক গাছে
পথ আঁকা ছিলো তাদের আবীরে
যারা যুদ্ধে যেতো

পৃথিবী নিঃশ্বাস পাক
ধীরে ধীরে হেঁটে যাক মিষ্টি বিকেলে
পৃথিবী নিঃশ্বাস পাক
শ্যামা মেয়ে উড়ে যাক
পৃথিবী ঘুরে ঘুরে তারপর,
মানুষের দেহের মতন,
আরো কিছু এলোমেলো গড়নের সাথে,

চারকোল প্রিয়তমা চারনিনা
ধোঁয়াটে নরম রেখা আকাশে-কাটিঁজে
পৃথিবী শিল্প পাক
কাটাকুটি সভ্যতা তীব্র জাহাজে
 

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

নস্টালজিয়া বেঁচে থাক





বুক থেকে বুকে ইতিহাস বাঁচে কালের শরীর বেয়ে
ভালোবাসাবাসি যুদ্ধ-বিবাদ চেতনার পথ চেয়ে
কত দৃপ্ততা অপচয় হলো, কত গুপ্ততা ইতিহাস হল
কত কবিতারা ধুয়ে-মুছে গেছে, কত দীপাবলী বৃথা নিভে গেছে
মেঠোপথ থেকে রাজপথে -
নস্টালজিয়া শুয়ে থাক, মিলেমিশে থাক ধুলো আর লাল
নস্টালজিয়া পড়ে থাক, থাক পড়ে থাক থাক চিরকাল
নস্টালজিয়া শুয়ে থাক, মিলেমিশে থাক ধুলো আর লাল

ধীরে ধীরে ঘাম বুকপকেটে চিঠির ভাঁজকে করে অসহায়
দাঁড়ি-কমারাই স্বজনের মতো কোমল চরণে তফাতে দাঁড়ায়
নস্টালজিয়া মুছে যাক, শিশির-সঙ্গী দুপুর হাওয়ায়
নস্টালজিয়া মরে যাক, মরে পড়ে থাক ছাউনী ছায়ায়
নস্টালজিয়া মুছে যাক, শিশির-সঙ্গী দুপুর হাওয়ায়

সভ্যতা তার দাঁতাল হাসিতে তুমুল উঁচুতে
আকাশকে তুলে খুবলে খুবলে আছড়ে নিংড়ে
এলোমেলো আর এলোমেলো ক'রে
ভগবানগুলো মানুষকে ধরে শুষে শুষে পিষে
ক্রমশঃ বিশাল এবং বিশাল, ক্রমশঃ অসীম

ধীরে ধীরে ধীরে রক্তবর্ষা ছিঁড়ে-খুঁড়ে খেলো জন্মতারিখ
দমে গেলো যত মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়াবার স্পর্ধা সঠিক
নস্টালজিয়া টিকে থাক শহরের শব জমানো রোদে
নস্টালজিয়া ভেসে থাক বুড়িগঙ্গার সাথে
নস্টালজিয়া টিকে থাক শহরের শব জমানো রোদে
নস্টালজিয়া উড়ে যাক, উড়ে উড়ে যাক, উড়ে উড়ে যাক

নস্টালজিয়া বেঁচে থাক...

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

আমরা যারা প্রতিপদার্থ, শূণ্যতার পাহাড়

যে তীরগুলো ছুটে গেছে পৃথিবীর দিকে, স্বেচ্ছায় তীরন্দাজহীন
ওদের সাথে বাঁধা আমরা যারা দগ্ধ শরীর, আছি
আমাদের রচনামূলক কাম সারবেঁধে বেঁকে যায়
সর্পিল শিরায়, ভেলভেট সত্ত্বায় ম্রিয়মাণ
আমাদের মধ্যবর্তী প্রবহমান

আমরা যারা দগ্ধ শরীর
আমরা যারা সিলাকিত শরীর
লেগে আছি ট্যানারীর বিপর্যস্ত জগতে
আমাদের ঘাম-থুথু-লালার দ্রবণে ফরাসি সুগন্ধি
অদ্ভুত অহংকারে প্রতিদ্বন্দ্বী

খেলা শেষ হতে দাও
মাঝে এসে গেঁথে পড়ো বর্শার কাঠামো
স্থিতিস্থাপকতায় বিলীন হতে হতে
প্রজ্বলিত নিশানা

আমরা যারা দ্যুতিময় শরীর
নরকের গভীর থেকে পথকে অস্তিত্ব দিই
সীমানা দেখাই অন্ধকার থেকে অধিক অন্ধকারে
আমরা এলোমেলো শ্যাওলার মতো জড়িয়ে যাচ্ছি গিঁটে
বেড়ে উঠছি সমাবেশে, বিদ্রোহে, বিশৃঙ্খলায়
আমরা যারা প্রতিপদার্থ, শূণ্যতার পাহাড়
বহুবিধ রঙে বিরক্তির দানব, পিচ্ছিল পিঠ
নর্দমাক্ত বসতি উল্টে আছে আমাদের ভেতর

আমরা যারা বন্দীত্ব মেনেছি দুপুরের পর
প্রবলতম ভূমিকম্পের আগমুহূর্তে
আমরা যারা কেউ না
আমরা যারা কিছু নই
এলোমেলো দুঃস্বপ্নের জট ।

রোদ নিভে গেছে পৃথিবীকে সঙ্গে নিয়ে
গলন্ত কালোর মাঝে ফুটে উঠছে কিছু শরীর
সময় থেমে গেছে গতকাল
বৃক্ষ বিলুপ্ত-ঘোষিত হবে আনুষ্ঠানিক ভাবে
বৃহত্তম শিলার দেহ খুঁড়ে শুদ্ধতম ইতিহাস
শুয়ে আছে পাশ ফিরে
অনবদ্য প্রাচূর্যে সুখকে আটকানো গেছে বহুমূল্য সিলিণ্ডারে
দুঃখকে পাওয়া যাচ্ছেনা কোথাও - কোথাও ।।

২.২.১২

গলগলে রক্তের স্রোত

গলগলে রক্তের স্রোত প্রতারণার ধারাপাত উপচে উঠে যাচ্ছে
গৃহসজ্জায়, জাপানী সোফায় সামুরাই প্রতিজ্ঞা বোঝাই
দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর রেখায়
অভ্যাসে প্রবল হচ্ছে পেশী
ঋণাত্মক পৃথিবী ছাড়িয়ে যাচ্ছে
লৌহ-প্রক্রিয়াজাত ভালবাসায়

নিরক্ষীয় আবেদন

নিরক্ষীয় আবেদন লিপিবদ্ধ আছে প্রবালে, যমুনায়
শীতল হাতের রেখা জমে আছে বিস্তৃত বিবৃত মধ্যযুগে
ক্যাকটাসের পেশল রেখায়, বৈশ্য-ব্যবসায় লকলকে সম্ভাবনা দীর্ঘায়িত
হরপ্পা থেকে প্রজ্জ্বলিত ভিসুভিয়াস, নানাবিধ আদিম জল্পনা

সংবিধিবদ্ধ প্রকট কবিতা ঝুলে গেছে দারুচিনির চালান নিয়ে
মেদবহুল হিসাবের খাতায়
অগণন টিপসই প্রতিবাদহীন পেরেক হয়ে
একাই ডুবে যাচ্ছে রাজস্থানী সমাবেশে

বিবর্তনকে নিষিদ্ধ করে যাবতীয় ধর্মপুস্তিকা
থোকা থোকা সভ্য মানুষের চামড়া ছিলে শুকোতে দিয়েছে রোদে

শিব হতে সক্রেটিস

শিব হতে সক্রেটিস মানবপ্রীতির ইতিহাস
চূড়াপতিত বিভিন্ন শিলা এবং তুষার
বিষাক্ত শরীর হতে পেরুর বাজার
ইনকা মাংসের শাঁসালো আন্দোলন
গাঢ় নীল শরীরে প্রাচীন লাল
ধমনীতে বিদ্যমান পাহাড়ের হাড়,
অনাহুত যাতনা-বিবাদ-উৎপীড়ন
সীমাবদ্ধ হৃদয় গারদের ভেতর বলিষ্ঠ বিষাদে মুমূর্ষু

বেদুঈন কামনার ভীড় ঠেলে টগবগে উরু ভেসে যাচ্ছে পশ্চিমে
হায়েনার ঠোঁটের মতো ক্ষিধে নড়েচড়ে ওঠে পিরামিড বুকে
আযানের আর্তনাদে ভেসে যায় এস্কিমো জনপদ
শ্বেতভালুকের চর্বিসমেত

______অ_
২.২.২০১২

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

একা পাখি এবং বর্ষা


কোন এক হিমকুয়াশার দেশ থেকে
এসেছিল পাখি এক, একা
সবুজ পাতার দেশে
বর্ষার উল্লাসে সে ভিজে যায়
বর্ষার উচ্ছ্বাসে সে ডুবে গেল
বর্ষার সাথে তার প্রেম হয়ে যায়
কোন এক হিমকুয়াশার দেশ থেকে
এসেছিল পাখি এক, একা

বর্ষা বর্ষা
একাপাখি বর্ষা
একাপাখি একাপাখি
বর্ষা বর্ষা
একাপাখি একাপাখি একাপাখি
একাপাখি একাপাখি বর্ষার ছিলো অপেক্ষায়

বর্ষা কিন্তু আর আসেনি
বর্ষা কিন্তু আর আসেনি
একাপাখি বর্ষার অপেক্ষায়
থাকতে থাকতে
থাকতে থাকতে
শেষ পালকটা মিশে যায় বনতলে

সেইদিন সেইদিন
আকাশ ভেঙে আবার বর্ষা এলো
সেইদিন সেইদিন
আকাশ ভেঙে আবার বর্ষা এলো

খোঁজ নিয়ে জানা যায়
আরো এক হিমকুয়াশার দেশ থেকে
এসে গেছে পাখি এক, একা
সবুজ পাতার দেশে
বর্ষার উল্লাসে সে ভিজে যাবে
বর্ষার উচ্ছ্বাসে সে ডুবে যাবে
বর্ষার সাথে তার প্রেম হয়ে যাবে

এভাবেই হিমকুয়াশার দেশ থেকে
এসে যাবে পাখি সব একা

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

কগহুইল


সবা-র___স-বার
কথা ছিল___ক-থা ছি-ল
ছিল নাম
ব্যথা ছিল
খাতা ছিল-
ছিল খাম
সবা-র
খাঁজকাটা শিরোনাম
খাঁজকাটা কগহুইল কগহুইল কগহুইল

ঘামঘর ধুলোবাড়ি
মরচের বাহাদুরী
ইচ্ছের বাঁকাঘোড়া
ভেসে যায় মনম-রা- (২)

এবা-র___এ-বার
এলো চুলে___এ-লো চু-লে
ধুলো আজ
ভেদভুলে
বেড়াজালে
ছায়াবাস
খাঁজকাটা পরিহাস
খাঁজকাটা কগহুইল কগহুইল কগহুইল

চোরাগলি ঘুরে ঘুরে
চোরাবালি ডুবে ডুবে
হেরে গেছে ছায়াছবি
দেহবাসা ভরাডু-বি- (২)

আবা-র___আ-বার
ঘর হবে
মেলা হবে
হেরে যাবে-
ছায়াছ-বি-
লিখে রাখো
বুকে বুকে
লিখে রাখো
বুকে বুকে
খাঁজকাটা ইতিহাস
খাঁজকাটা কগহুইল কগহুইল কগহুইল