বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

লুলুবি :: বিয়োগের উৎসব



কয়েক কোটি গর্ভপাতের পর পৃথিবী ভেসে যাচ্ছে বৃষ্টিতে
মানুষ বিজয়ী এবং এরপর আর কিছু নেই
শুধু দুঃস্বপ্ন শেষ করে কন্যা কাঁদে, টিভি দ্যাখে
বিষের প্যালেট থেকে মারণাস্ত্র ক্ষ্যাপাটে বিমূর্ততার দাঁতে
পাথরের অরণ্য স্পর্শের অপেক্ষায়;

রক্তের মতন দারুণ কার্যকর এক উপাদান যা
গীর্জা আর মসজিদের বিস্তৃত সোপান গড়তে ব্যবহৃত হয়,
কিন্তু ভালবাসা তার থেকে খুব কঠিন অথবা খুব সহজ যে
এদের মাঝে কোনদিন কোন তুলনা হয়নি,
অথচ রক্তে ভরপুর একটি দেহের ভেতর
কী তীব্র আবেগে ভালবাসা বড় হয়
সে ভালবাসার শরীর থাকে অথবা থাকে না
সে বেড়ে ওঠে অথবা চিরতরে থেমে যায়
অথবা প্রতিকূল ভেবে তাকে থামিয়ে দেয়া হয়, তারপর -
মানুষ ঘাম মুছে ফেলে ।।

_______অ_
(দুপুর)
২২.৯.২০১১

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১

লুলুবি :: গার্হস্থ্য ধারাপাত

স্বপ্নে মাছ আর মাঠ দ্যাখে কন্যা
ধনুকের মতো বেঁকে ওঠা তার আঠারো বছর
সন্ধিপদী সংসারে পিঁপড়ের লাশ বেছে বেছে
কাঁথায় বুনে বুনে জীবিত-মৃত স্বামীদের মুখ
তার দেহে সরিসৃপের হাড়, ডিমের কুসুম
সারি সারি পুঁটি গায়ে হলুদ মেখে শুয়ে আছে
সুস্বাদু উট-বার্গারটিতে কামড় বসাতে বসাতে শ্বেতভল্লুকের দাঁত
চক্রাকারে সাইবেরিয়া-মোহাবি, আলাস্কা-গোবি, বামুনের দ্বীপ
বৈপরিত্যের প্রহসন, তার মাইনে থেকে সুখ বাদ,
ডান-পন্থী প্রহেলিকা, বাম-পন্থী বাসনা
কালো কড়াইতে হলুদ উত্তপ্ত বুদবুদ;

নির্ভরযোগ্য মানুষেরা আজন্ম বহুমূখী সেতুর মতো
সেখানে ধাপের পর ধাপ সম্পর্কের প্রলেপ, সামান্য কষ
এরপরও শরীরে ফাঙ্গাস হয়, নড়বড়ে প্রতিরক্ষা ব্যুহ
পুরনো গীটারের তার, অনুভূতিরা আঙুল
ফোঁটায় ফোঁটায় জমা হাজার লিটার আফ্রিকান আক্ষেপ ।।


________অ_
(দুপুর)
১৯.৯.২০১১

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১

লুলুবি :: শুরুর কথা



ধ্রুপদী জল দিবসে কন্যা তার চুল ধুতে পারেনি
চুল গেছে এঁকেবেঁকে দানিয়ূব পাড়, আল্পস পাহাড়
পোষা ব্যাঙমী, তেপান্তরের ঠিকানা দিতে দিতে
হয়ে গেছে রূপকথার পাতা, হাড়ে চারকোল -
ফসিল জুড়ে জুড়ে কিংবদন্তী, চার্চের ঘণ্টাকে
আঁধারের শেকলে তুমুল বেঁধে হেঁটে গিয়েছেন ধূসর থমাস
মার্বেলে ভুল কার্ভিং;

মানুষের ইতিহাস ঝুঁকে আছে থলথলে আনন্দের দিকে,
বান্ধবীর হবু বর রক্ষণশীল উর্দির পেছনে সুঠাম, প্রক্রিয়াধীন
সুরার কুয়াশা উথলে ল্যাংচানো চর্বিরা দাহ্য কাঠামোতে
তেলপাতার ছোপ ছোপ অক্ষরছবি, পুত্র এবং সংশ্লিষ্ট অতিপুত্র
ফ্রয়েডিয় বারোয়ারি ভণ্ডামি;

লালনুনে লবণ ইলিশ, আটাশির প্লাবনের মাননীয় গুবরে পোকা
কাল্পনিক মাখনের স্তুপে বংশ বাড়ায় ।।


_______অ_
(মধ্যরাত)
১৮.৯.২০১১

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১১

সর্বশেষ স্বেদবিন্দুতে যদি পারি প্রহেলিকা গড়ে যাব


আমার শহরে ভোর হচ্ছে আবার
স্যাঁতাপড়া লাবণ্য হেসে উঠছে তবুও
জবুথবু বাসগৃহ আরো একটি রবিবারে,
বুড়োরাতের বাদবাকী গাভীন মেঘ
নবজাত রোদের আঁচে ক্রমশঃ নেই
আর আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা,
পতিত পথে, অনাবাদী পৃথিবীতে
বেঁচে থাকবার অনবদ্য জেদ,
সম্পর্কের দুর্নীতি, চুষে খাচ্ছে সুখ
এইভাবে আর কিভাবে কী হবে।

সর্বশেষ
স্বেদবিন্দুতে
যদি পারি
প্রহেলিকা গড়ে যাব


__________
২৮.০৮.২০১১

স মু দ্র ম য় মৃ ত বা লি হাঁ স

রা জ প থে ম র চে
শ য় ন ক ক্ষে স বা ই ব্য স্ত
স বা ই কে ছুঁ তে চা য় অ রি গ্যা মি র দা ন ব
ভে জা মা নু ষে র ট ব
স্বপ্নগুলো বার্চগাছকে টাইট বেঁধে সরে যাচ্ছে শহরতলীর দিকে,
জাপানী জানলায় ঝিমঝিম মগে লিপপ্রিণ্ট খুব খেলাধুলো হচ্ছে
মেয়ে কুকুরটা বাচ্চাদের জন্য সসেজের মিছিল নিয়ে যাচ্ছে
চশমার কাঁচ শরীর বদলে নতুন অসুখের রোগী
আগেরটাতে খুব দাগ ছিল, দাগের মধ্যে এরিণার গল্পও ছিল
যা আর কোনখানেই নেই,
ভেবেছি কফিনেই থেকে যাব এখন থেকে

নতুন মেয়েটিকে বলব
হারিয়ে যেতে আমার থেকে সাতাশশো নটিক্যাল দূরে
সাবানের বুদবুদ আমাকে দানবের ক্ষমতা দিয়েছে
আমি আজকাল বাচ্চাদের খেলনাগুলোতে বেশ ভাল কিছু পাই
একা একা আনন্দ করা মানুষগুলো হাইওয়ের ওপর দাঁড়ায়
তাদের সিলাকিত অন্তর্বাসে হাজার সভ্যতার রেখা;

নতুন মেয়েটি জানবে আমি পারিনা
নতুন মেয়েটি হারিয়ে যাবে
আমার থেকে সাতাশশো নটিক্যাল দূরে
আমি মার্টিনির ওপর চেরীকে ভাসাবো
দূর থেকে আরো নতুন একটি মেয়ে আসবে,

সমুদ্রের মধ্যে ইয়োগার স্কুল
গা বোঝাই কাঁকড়া নিয়ে যাচ্ছিলাম ইস্তফা দিতে,
নখের উপর মেক্সিকান মেয়েটা কিসব একে দিয়েছিল
প্রবাসী বালিতে পা-দুটো সাইবেরিয়ান স্লেজের মতোন
আমার সামনে দ্বীপ ভেসে আছে স্কুবাদের সাথে
পিঠে ড্রাগনের শরীর লেপ্টে আছে ধনেশ পাখিটিকে ।।

সম্ভবত দেবদারু, পুরোটা না থাকলে কী করে দেখাতো অর্ধেক
শেষরাতের তাড়াহুড়ো, ফুকোর কাঁটায় ডেক বোঝাই পাগলামির বাকশো

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১১

নিজস্ব আবিষ্কার

কাঁচপোকার সাথেই ছাদে যেতে ইচ্ছে
আমার যে পথ ভাল্লাগে, আর খুব রোদ
অগণিত করোটিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে, আমার খানিকটা
বৃষ্টির ছাট আসে তারপর
আর পুড়তে থাকা
মাঝখানে খুব খুব শূন্য
উল্টোদিকে হা করে, পাঁজরের টুপ টাপ
নিজের মধ্যে ঝুঁকে থাকে
সভ্যতার ঘাটে
দীর্ঘতম প্রহর
ধীরে দাঁড়াই বরং নোনা জলে
পায়ের গভীরে বালি সরে যেতে যেতে
এই সুখ নিজস্ব আবিষ্কার ।।

সেদিন বুধবার ছিল

প্রতিফলন কাউকে কাউকে ধরে না
আমাকে আর অন্য কাউকে
কাদা আর রোদে প্রতিবার ডুবে যেতে

একবার আমাদের বাড়িতে কেবল আয়নাকে হাসতে দেখেছিলাম
সেদিন বুধবার ছিল
সেই বুধবার আমায় রোজ দেখা দেয়
আর বুধবার আমি বাড়ি যাই, খোলসের ভেতর
সব বুধবার
সে নথ পরে
ভাবনায়
একমনে গুনে যাই শায়িত কাঁচের সারি, স্বচ্ছ, একজোড়া হাঁস-সাদা ফুল
অনেকটা স্বপ্নের মতো, আ-রো কতো কী-

আকাশটা যে বিশাল এক 'না'

উঠে দেখি ঝাপসা আমার ঘরে দমবন্ধ সকাল
গৃহস্থ চোয়াল তার কণ্ঠনালীকে শেখায় গাংচিল আহার
কতগুলো ভাঁজে একটি কপাল
অচেনা কার শরীর বিছানা হয়ে আছে
কল্পনাতে বিস্বাদ রুটি, কংক্রিটের প্রলাপ, পোড়া মস্তিষ্ক আর মন
আমার নয় এ স্বাদ, এ স্পর্শ, ছিঁড়ে যায়
এ নিঃশ্বাসও যেন অন্য পৃথিবীতে ফেরারী ।।

__________
২৬.০৭.২০১১

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১১

রীতু :: প্রত্যাবর্তন (পাঁচ)

এক মনস্তাত্বিক আণবিক বোমা
কেউ একজন করেছিল আবিষ্কার
করে প্রচুর আয়োজন
আগুনের গোলা দেখেছিলাম বড় ভেতরে
আর ধীরে ধীরে পুড়তে পুড়তে পুড়তে
পুড়তে পুড়তে পুড়তে..
না না .. শেষ হলোনা
বড় দাউদাউ ভেতরবাড়িতে আজো
চোখে জল আসেনা
তাই দ্বিধা হয়, কতটুকুইবা দহন আর..

তুমুল হাওয়ার মধ্যে
চোখ রাখি খোলা,
বড় সাধনা করে চোখের জলে
ভাসাই অবশিষ্ট শরীর
আয়নার সামনে দেখাতে নিজেকে
"দ্যাখো ছোঁড়া.. তুমি দুঃখী..."

আমি দেখেছিলাম দুটো কবুতর
পুরনো কড়ইয়ের উঁচুতে বেয়ে বেয়ে
নিজেদের ওরা কতটুকু বেসেছিল
বোঝা যায়নি,
জৈবিক গবেষণার বিষয় ।।

৬.৮.২০১০

বুধবার, ২৫ মে, ২০১১

সিগ্রেট হয়ে যাবার পর

দু দু'বার হাতের উপর ম'রে গেছি
গাড়ীটাও ছেড়ে দিয়েছি
সেই বসেই আছি, বসেই থেকেই শুনি
বুকের মধ্যে গীটারের কর্ড ছিঁড়ে যায়;

সিগ্রেট হয়ে যাবার পর
এখন কিছুটা বুঝি যাতনা বা সুখ, আর -
অবশিষ্ট শরীর গড়াতে থাকি,
লোকজন পিষতে পেরে খুশি
প্রয়োজন যেহেতু শেষ
আর কী কাজ আমার !

২৫.৫.২০১১

রবিবার, ২২ মে, ২০১১

রোদমানুষ

আকাশপাত্রে যদি রাখো বিন্দু বিন্দু ভোর
দিয়ো শরীর ভরা চিঠি, তাকিয়ে আছি
সবটা ধুইয়ে দেবার পর, কিছুটা সময় রেখো
দেহ থেকে ছিঁড়ে নিয়ো মামুলি আকুতি,
সে থাকে বোধের বাইরে, কালোর শূন্যতে।

অনেকটা চাবুক এই রাত, ছাপানো কাগজের জাহাজে
টানটান পৃথিবীর আগলানো রত্নকে হাঁটিয়ে
পার করো, অগণিত গাণিতিক দাঁত, হাত, উরু
পৃথিবীকে ছারখার করে -
ওরা যে ডুবে আছে কৃত্রিম কাদায়,
ওদের জিহবা, বেড়ে চলে আঁটসাট পোশাকের বাইরে,
ওরা ছেপে দিতে চায় দুই আকাঙ্ক্ষার সীলমোহর
অসংখ্য জীবন, এভাবেই হনন, অকারণ;

প্রচুর প্রচুর নুন, ক্লান্ত পৃষ্ঠার মাত্রা নির্মাণ
ভান আর ঋণের আস্ফালন, কব্জিতে প্রশস্ত ব্যথা
যদি এই হয় পথ তুমুল লাফিয়ে পিষে যাবো তথাগত যা-কিছু,
মাংসের ঝাল তেঁতে আগুন করেছে,
বাঁকানো দেহে প্রবল জ্যামিতি, ভীষণ লাল
জৈবিক সুতোতে ক্রমাগত বাণিজ্যিক গিঁট আর রক্তের টুকরো;

মানবিক পা কেবল পালাতে চায়, একটু ঘুমোতে চায়,
যদি অন্ধকার থেকে একটু আলোতে উঁকি দিই
একটু আলোতে উঁকি দিই যদি অন্ধকার থেকে
খুব কাছে মাঠের শরীর,
দূর্বায় গেঁথে যাব পর্যাপ্ত সুখে,
ভ'রে দিয়ো, হতে দিয়ো রোদমানুষ
ভ'রে দিয়ো, হতে দিয়ো রোদমানুষ ।।

২২.৫.২০১১

আমাদের বারান্দায় আকাশ পাওয়া যায়

আমাদের বারান্দায় আকাশ পাওয়া যায়
ভালবাসার গন্ধে মাতাল, ভিজে থাকা যায় ত্রিমাত্রিক জোৎস্নায়
অবেলার অটিস্টিক বাসনায় কাত করে শরীরের গবলেট
যৌথ উঠোনে শুকায় আদরের আচার, সুখ,
কেননা স্বপ্নের জানালার গ্রীল কেটে এনেছি আলোর ফুল
দায়ভারকে পাঠালাম ছেলেমানুষীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ছুটিতে;
সংসারের মায়াবী পোস্টারে কোলাজ করছে দোষ - পাপ
এরপরও এক কাপ কড়া চুমুকের আশ্বাসে লাগাতে পারি
সবক'টা যন্ত্রণার বোতাম;

পরিপক্ব সহবাসে, ভেজানো দরজাকে বলেছি আড়াল টানতে,
ভালবাসার তো আর ক্যালেন্ডারে ভয় নেই বরং জমে ওঠে পৃষ্ঠা শেষে
ঠোঁটে মাখানো ভালবাসার লহমা আবেগের কণ্ঠনালী বেয়ে
উর্বর পেটে বয়ে আনে ভবিষ্যতের শরীর;

তার বিশ্বাসে সম্পূর্ণ বাঁচা যায়
তার হাতে রাখা যায় সম্ভাবনার শব্দগুলো
আর যা কিছু সব ।।

২০.৫.১১

অটিস্টিক হাত - ২

মাধ্যমিক জোৎস্না,
আবার বাড়িয়েছি অটিস্টিক হাত
সাঁড়াশির তলায় উৎফুল্ল তুমুল
প্রতিফলন এমন যাতে খুব বাঁকা লাগে
একা লাগে,
বিছানার কোণ পুরাতন রক্তে
কবেই বলতাম
ঢিল দেবো ধরিস না, মন -
আমার থেকে ঢের ঢের ভাল,
বলতে চাচ্ছি কেবল কালো আর কালো ছাড়া
ঝড়কেই বলি ঝড়ের গল্প বরং
পৃথিবীটার বাকী সব বোধ বলছে , ছাই -
ঘুরিয়ে নিয়েছি কাঁধ,
নির্ভরতায় কাঠপেন্সিলের আধো উন্মাদ দেবী
ঘুমকে ঢেকেছে ভয়ংকর
তার চুল ছুঁতে পেরেছিলাম কি-না -

সবটুকু বৃষ্টিতে
ঠিক অমন করেই ভিজে আছি ।।

২২.৫.২০১১

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১১

দরজা বিক্রি হবে না

যত্নে ধুয়ে রাখা বাইশ নম্বর দুঃখ বাঁধি বেগুনি শেকলে
মৃত প্রাসাদের দরজা জুড়ে দাঁড়াই -
কাউকেই আসতে না দিই, বুঝতে না দিই,
শুধু দরজাই আছে বাকী;
এরপর উঁচু থেকে আরও উঁচু
সবথেকে অবাক করা নিশ্চুপ আকাশে মেঘ
অর্ধেক গাছ, অর্ধেক নদী, অর্ধেক পাথর
মুখস্ত রাস্তায় মুখ থুবড়ে আবিষ্কার; ভুল;
সব থাক প'ড়ে ওভাবেই, হারাক বাণিজ্য
চাইনি যা তা চাইবো কি কোনদিন যেভাবে চাই ঝড়
আর ছুটি, আর ক্ষমা, আর...।

১৩.৩.২০১১

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০১১

বিষাদের বীমা

দুইধারে এক মহাদেশ, দারিদ্র্য স্বজন

কাঠামো শূন্য, সবুজে বাদামী রোগ

মাংসের আঠায়, কত্থক নাচা তেরচা রোদ্দুর গায়

বিপুল উজানের টগবগে প্রস্তর

সবুজের টুকরোর সাথে, শেষ ঝাঁপে সর্পিল

বাড়ন্ত বৃত্ত দেবে বাসি বৃষ্টিতে, অল্প তফাতে

দুমড়ানো ঘাস দেখে নেমে যায় জল, খেতে পায়না রোদ আর

বাইচের নাও ঠিক ডোবে বেলা শেষে

জীবনের নায়ে সেচি জল, কেবল;



বিশেষণ চাই না আর, অব্যয় এবার

বুকের মধ্যে, বন্ধ্যা মেঘে

না বলা বাক্যের নিশ্বাস গুণে শুনে

জুটি বাঁধতে বলেই অনুপস্থিত কেশের ঝুঁটি, ধ'রে ঝাঁকাতে

গোটা এক ঝড়, তার ভেতর

ত্রিভুজ আর গ্রামোফোন, সবাই অমন

নৃত্য পারে দুয়ার খুলে, বইতে পারে

পাপের শরীর, ভন্ডামির সর

চাপা পড়া কণ্ঠনালী, অস্ফুট বলি

কথা, কারও বলার অপেক্ষার, ধারেনা ধার আর

জীবনের অধিক ধার

এলোমেলো ভাসে বোধের উঠোনে;



সেই নথ-ই যদি সাজে বেপরোয়া, কে বোঝাবে

কে সাজাবে বিষাদের বীমা ।।

বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

অধঃক্ষেপ

চক্ষু বোঝাই উজাড় ভাগাড়,
যে বাক্যটা শুকিয়ে যাবে, তার উদ্দেশে -
দোষবিলাসী বীভৎস তিন কালচে শিশি;

বাদাম স্লেটে উলম্ব আর আনুভূমিক, ব্যক্তিগত-পারস্পরিক
জটপাকানো থিকথিকে মন; দেরাজ ভরা বিষের বাটি
বড্ড দেরী, সুখ তাড়ানো বকের দুপুর, যবের দানায় -
সমস্ত রাত সোমত্ত আর জ্বলন্ত কূপ ।।

৯.২.২০১১

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১১

ছুটি নেই

পা আর নুড়ি নরম ধুলোই আঁকার খাতা
মেঝের ভেতর নাঙা শীতে মুঠির মধ্যে রুপোর বাটি
জানলা টেবিল এপাড় থেকে ওপাড় দেখি অন্যজীবন
জীবন মানে কফির মগে আলতো অসুখ অসুস্থ রাত
পাপোশ এইতো পায়ের মোজা এই সুযোগে
গল্পগুলো লুকিয়ে পড়ে উপন্যাসে
বল দেবেনা বেল নেবেনা খাটো মাদুর বারান্দাসুখ
ডিম জুতো আর মিষ্টিকলা কাঠের জুতো ভাগ্য এমন
নখের মধ্যে রক্তরেখা বাসের ছবি ফটোস্কপি
স্টেথোস্কোপে মনের ভুলে বাউন্ডুলে জীন্সে ফ্রান্সে
পারফিউমে রিকসা থামে উদোম হাঁটু কান্না আসে
পথের পাশে তুমুল দুঃখ-খামার দুটি
হন্যে বাঁচি এমনি খুঁজি
আমার স্বপ্নরোগের খুঁটি
নেইতো ছুটি !

_____________
১৯ জানুয়ারি ২০১১

'খ' এর ভুলের জন্যে 'ক' এর অপেক্ষা

কফিন বরাদ্দকৃত
কিছু নেই শেষ ডাক নামে
বিপরীত রং বিপরীতে
শেষমেশ এই আমি কিছুটা কুকুর

ভাঙতে কি পারেননা মিথ্যেবাদের টিউব প্রতিশ্রুতিদের মতোন
সব বানানো আমাদের কবি মানুষ দেবতা অসুর
মাংসের শিলায় পাপ হতাম আদিম অথবা আবশ্যক রোগ
যদি করি ভয়ংকর লাল আপেলের আবদার


নষ্ট বৃত্তে মরি আর ঘুরি
এইখানে তুলে রাখি
আজকাল আপনারই দিন

যিনারা বেশি পারে তিনাগোর কাছে গিয়া মর্

ভেইবে দেইখলেম ভালো
ত্যক্ত তো আর করতিছিনে কার কি খেতি বাপু ;
ওঁর মধ্যি যিইভাবে পড়িছে সোনাভানের শাড়ীর পাড়
শ্যাষে ওই ধুতি আর গামছা
সাথে ওঁই পাছাপাড় শাড়ি
সাড়ে বারোখানা চিঠি

কলজেখান দিয়ি ভুল করিছি নারায়ণ

কথন কুড়ি জানুয়ারি, এগারো

ওরা যখন দারুণ গতিতে পেটাতো চার এবং ছয় আমি তখন খুব দূরে
ঘাসের ভেতর ঘাসের শব্দ ঘাসের গন্ধ আরো দূরে
শিমুল তুলোয় আকাবাঁকা এলোমেলো হারিয়ে যেতে
কিছুই যেখানে নেই সেইখানে আশ্চর্য সব আনন্দে
উড়ে গেছি
জানিনা
কবে থেকে
বাচ্চা ছিলাম
খেলা বুঝিনা তবে দেখতে ভালই

লেনদেন

পুঁটির শরীরে আলো, সরষের পিদিম কাঁপে সুখে-দুঃখে
জমছে ঘামছে নামছে বড় ঢেউ, দুলতে দুলতে আরো দূরে
একা কাঁপছে, বাইস্কোপ ছুটে যাচ্ছে নোনতা বিস্কিটে, সাধু
হেঁটে বাঁটে কান মলে সিগ্রেটঅলা গঞ্জ থেকে
মেনে নিচ্ছে অভ্যস্ত জাদুবিদ্যা আর চন্দ্রবোড়া
ডাকিনী শাকচুন্নীর পিঠ ঝোলা এলোমেলো শীতের যোগিনী
আটআনায় সেধে বেদে চিরুনী কলাই মটরের ঘাট..

শেষমেশ সের দরে বিকিকিনি, জীবনের জোড়া, হালি

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১১

উপরোধ

দিলাম দুপুর, নিন
ধ'রে তুলি প্রথম চিবুক ভীষণ এক পউষে
এই নিন নাটাই আমার
তবু থাকি, থেকে যাই ভেতর বারান্দায়,
লিখেছি যা সন্ধ্যা আর রাতের ভাবনা
প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর...

এভাবেই ছিল যোগাযোগ
এরপরও চেপেছি সাক্ষাত
চেনা জানার আজন্ম বোধ, না
এক কাপ চা-তেই না হয়
সকালের অভিমান গেছে জলাঞ্জলি, তারপর-
যে কোন খাতাতে নতুন অধ্যায়
নিরক্ষীয় দুঃখ অসুখকে দত্তক নেবে
এটুকুই চোখে লেগে পুষ্ট হবে ভুল শব্দ ...

_________________
৯ জানুয়ারি ২০১১