রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১১

সর্বশেষ স্বেদবিন্দুতে যদি পারি প্রহেলিকা গড়ে যাব


আমার শহরে ভোর হচ্ছে আবার
স্যাঁতাপড়া লাবণ্য হেসে উঠছে তবুও
জবুথবু বাসগৃহ আরো একটি রবিবারে,
বুড়োরাতের বাদবাকী গাভীন মেঘ
নবজাত রোদের আঁচে ক্রমশঃ নেই
আর আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা,
পতিত পথে, অনাবাদী পৃথিবীতে
বেঁচে থাকবার অনবদ্য জেদ,
সম্পর্কের দুর্নীতি, চুষে খাচ্ছে সুখ
এইভাবে আর কিভাবে কী হবে।

সর্বশেষ
স্বেদবিন্দুতে
যদি পারি
প্রহেলিকা গড়ে যাব


__________
২৮.০৮.২০১১

স মু দ্র ম য় মৃ ত বা লি হাঁ স

রা জ প থে ম র চে
শ য় ন ক ক্ষে স বা ই ব্য স্ত
স বা ই কে ছুঁ তে চা য় অ রি গ্যা মি র দা ন ব
ভে জা মা নু ষে র ট ব
স্বপ্নগুলো বার্চগাছকে টাইট বেঁধে সরে যাচ্ছে শহরতলীর দিকে,
জাপানী জানলায় ঝিমঝিম মগে লিপপ্রিণ্ট খুব খেলাধুলো হচ্ছে
মেয়ে কুকুরটা বাচ্চাদের জন্য সসেজের মিছিল নিয়ে যাচ্ছে
চশমার কাঁচ শরীর বদলে নতুন অসুখের রোগী
আগেরটাতে খুব দাগ ছিল, দাগের মধ্যে এরিণার গল্পও ছিল
যা আর কোনখানেই নেই,
ভেবেছি কফিনেই থেকে যাব এখন থেকে

নতুন মেয়েটিকে বলব
হারিয়ে যেতে আমার থেকে সাতাশশো নটিক্যাল দূরে
সাবানের বুদবুদ আমাকে দানবের ক্ষমতা দিয়েছে
আমি আজকাল বাচ্চাদের খেলনাগুলোতে বেশ ভাল কিছু পাই
একা একা আনন্দ করা মানুষগুলো হাইওয়ের ওপর দাঁড়ায়
তাদের সিলাকিত অন্তর্বাসে হাজার সভ্যতার রেখা;

নতুন মেয়েটি জানবে আমি পারিনা
নতুন মেয়েটি হারিয়ে যাবে
আমার থেকে সাতাশশো নটিক্যাল দূরে
আমি মার্টিনির ওপর চেরীকে ভাসাবো
দূর থেকে আরো নতুন একটি মেয়ে আসবে,

সমুদ্রের মধ্যে ইয়োগার স্কুল
গা বোঝাই কাঁকড়া নিয়ে যাচ্ছিলাম ইস্তফা দিতে,
নখের উপর মেক্সিকান মেয়েটা কিসব একে দিয়েছিল
প্রবাসী বালিতে পা-দুটো সাইবেরিয়ান স্লেজের মতোন
আমার সামনে দ্বীপ ভেসে আছে স্কুবাদের সাথে
পিঠে ড্রাগনের শরীর লেপ্টে আছে ধনেশ পাখিটিকে ।।

সম্ভবত দেবদারু, পুরোটা না থাকলে কী করে দেখাতো অর্ধেক
শেষরাতের তাড়াহুড়ো, ফুকোর কাঁটায় ডেক বোঝাই পাগলামির বাকশো