রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১১

দরজা বিক্রি হবে না

যত্নে ধুয়ে রাখা বাইশ নম্বর দুঃখ বাঁধি বেগুনি শেকলে
মৃত প্রাসাদের দরজা জুড়ে দাঁড়াই -
কাউকেই আসতে না দিই, বুঝতে না দিই,
শুধু দরজাই আছে বাকী;
এরপর উঁচু থেকে আরও উঁচু
সবথেকে অবাক করা নিশ্চুপ আকাশে মেঘ
অর্ধেক গাছ, অর্ধেক নদী, অর্ধেক পাথর
মুখস্ত রাস্তায় মুখ থুবড়ে আবিষ্কার; ভুল;
সব থাক প'ড়ে ওভাবেই, হারাক বাণিজ্য
চাইনি যা তা চাইবো কি কোনদিন যেভাবে চাই ঝড়
আর ছুটি, আর ক্ষমা, আর...।

১৩.৩.২০১১

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০১১

বিষাদের বীমা

দুইধারে এক মহাদেশ, দারিদ্র্য স্বজন

কাঠামো শূন্য, সবুজে বাদামী রোগ

মাংসের আঠায়, কত্থক নাচা তেরচা রোদ্দুর গায়

বিপুল উজানের টগবগে প্রস্তর

সবুজের টুকরোর সাথে, শেষ ঝাঁপে সর্পিল

বাড়ন্ত বৃত্ত দেবে বাসি বৃষ্টিতে, অল্প তফাতে

দুমড়ানো ঘাস দেখে নেমে যায় জল, খেতে পায়না রোদ আর

বাইচের নাও ঠিক ডোবে বেলা শেষে

জীবনের নায়ে সেচি জল, কেবল;



বিশেষণ চাই না আর, অব্যয় এবার

বুকের মধ্যে, বন্ধ্যা মেঘে

না বলা বাক্যের নিশ্বাস গুণে শুনে

জুটি বাঁধতে বলেই অনুপস্থিত কেশের ঝুঁটি, ধ'রে ঝাঁকাতে

গোটা এক ঝড়, তার ভেতর

ত্রিভুজ আর গ্রামোফোন, সবাই অমন

নৃত্য পারে দুয়ার খুলে, বইতে পারে

পাপের শরীর, ভন্ডামির সর

চাপা পড়া কণ্ঠনালী, অস্ফুট বলি

কথা, কারও বলার অপেক্ষার, ধারেনা ধার আর

জীবনের অধিক ধার

এলোমেলো ভাসে বোধের উঠোনে;



সেই নথ-ই যদি সাজে বেপরোয়া, কে বোঝাবে

কে সাজাবে বিষাদের বীমা ।।