রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১০

লেগে আছে গভীর চাবির দাগ বিশ্বস্ত তালায়

বেঁচে ছিল এক
বাক্য ভালবাসার
গভীরে আমার
আগুন বৃত্তে
বায়বীয় সুখে
একই কবিতার বই
সামান্য চিৎকার
আরো গভীরের
ঠাসবুনটের
প্রাসঙ্গিক পাপ,
কান্নার গায়ে
বেঁচে ছিল যারা
পুতুলের ছাঁচে
কিমোনো জ্যাকেটে
লেপ্টে বাঁচা সোমত্ত কস্তুরী,

আঙুলের বড্ড কাছে
দ্বিতীয় জীবনের মূল্যমান
গভীর চাবির দাগ
পুরাতন বিশ্বস্ত তালায় ।

_________________
২৮ নভেম্বর ২০১০

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১০

এক জীবনে সবাই যেন অন্যমানুষ

এক জীবনে অনেকগুলো অন্যমানুষ
যে যার মত খাচ্ছে, পরছে, ছুটছে আবার করছে চুরি
যে যার মত ছুটছে মেলায়, পড়ছে ফাঁদে, যাচ্ছে হেরে
দলবেঁধে সব টেবিল ঠুকে তবলা করে
মাঝে মাঝে ঝগড়া জমে, ট্রাফিক জ্যামে, বৃষ্টি নামে
পথের ধুলো হল্লা করে, জুতোর তলায়, চায়ের স্টলে
স্টেশন জুড়ে ঘুমায় মানুষ
সেই মানুষই হাজার টাকার ওড়ায় ফানুস
দেহের দোকান যাচ্ছে জমে, পরাক্রমে
রুটির দোকান চলছে চলে,
ময়দানে আর বাসস্থানে রাজনীতি তার নখর গাড়ে
হঠাৎ দেখি মরছে মানুষ অকারণে পথে পড়ে,
অস্তিত্বের সংকট তার মেলছে ডানা সংসারে আর সহবাসে
নিজের কাছে মিথ্যে বলা, ইন্দ্রকলা, চার অক্ষরের দীর্ঘশ্বাসে

হঠাৎ দেখি কড়ে গুনে কিছু আছে উল্টো মানুষ
লিখতে বসে, আঁকতে বসে, গাইতে বসে একলা ঘরে
শিক্ষিতদের মিছিল যখন বিক্রি করে মগজখানা
এরা তখন স্বপ্ন বানায় বাজার ভুলে চিলের ডানায়
জ্ঞানপাপীদের মিটিং থেকে মানুষ রাঁধার উপায় বেরোয়
কবি তখন আলতো করে আকাশ জুড়ে ইচ্ছে উড়োয়

এক জীবনে সবাই যেন অন্যমানুষ
যে যার মত হচ্ছে বড়, ঝুলছে বাসে, পড়ছে প্রেমে
যে যার মত করছে বিয়ে, খাচ্ছে বিষ আর যাচ্ছে মরে
আজো কেন বুঝিনা ছাই এসব ভাবা বেআক্কেলে
নিজে তো সেই কেবল মানুষ
লোকজন আর ধুলোর ভীড়ে ।।

__________
২৫ | ১১ | ২০১০

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০

চূড়ান্ত পাঠ


জগদ্দল ধূপ,
পুজো পোড়ে বুকের তলায়,
লিখতে বা পড়তে পারছিলামনা
আর গাড়ি - বাস পাশ ঘেঁষে অনাবাদী সড়কদ্বীপ
মাথা উঁচিয়ে বিলবোর্ড তখন খুব দূরে
আমায় কানে ধরে বুঝিয়ে দিল দুঃখ, আর
পেন্সিলে লিখল সরকারী সুখ
অভ্যাসে তাকাই মৃত মুখে, রূক্ষ আর অতিরিক্ত রঙিন -
ওরা বলে থাকে একে অন্যকে সহবাসে একা একা
বিভিন্ন দরকারী সব কথা, আর
বুক চিরে দেখিয়ে দিল রক্ত,
না না, খাতায় যায় নি লেখা কোনদিন,


কতটা বিকার হলে চর্তুদিকে কেবল না, শুনতে, হাঁটতে, আর
গলতে গলতে রোদের কাছে কাকে যেন কী একটা দেখাতে চাই,
দেখিয়ে দিই ডিকশনারির পৃষ্ঠা ছেঁড়া, শিখিয়ে দিল প্রেম
যে আমি ছিলামও না, থাকিও না, কোনদিনই,
সবাই কেবল ছায়ার মধ্যে আঁচড় কেটে যায়
অধিক বোকা খুবলে খায় বৃষ্টি পুড়তে পুড়তে, আর
রোদ ভিজতে ভিজতে শিখে ফেলি স-ব ঠিকঠাক ।।

_______________ _
২২ | ১০ | ২০১০