শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১২

স্বপ্ন তাহার দীর্ঘ আঙুলে হৃদয় বাজায়

নিহত সরিসৃপের দুর্দান্ত যাতনা
সে মন আর দাঁত খুঁজে পাচ্ছেনা
পৃথক বাক্য, পৃথক অভিজ্ঞতা
তুমুল লজ্জিত হবার পর পশুর মতন ভাল থাকা
আর এই অসাধারণ কোকের বোতলের ভেতর
সবই সুন্দর, এমনকি তার হাসিও

ছোঁয়াচে আবেগ যে বাস্তব মানুষটাকে করে দিল অবাস্তব
যে ওয়াসাবি পি-নাট হাতে, বাদুড়কে দিয়ে মহাকাব্য লিখিয়ে নেবে,

কেননা আমাদের কবি
স্কয়ার স্ফটিক দেখতে পান না আর্গনমিক এঞ্জেলের পাঁজরে

বিবিধ কল্পনায় রেডিও আমার বিল পার হয়
শিশির টিকে ছিল মিলিয়ে যেতে

কবির মৃত্যু হলে নিচ্ছিদ্র মেঘ, বৃষ্টিবিহীন

পিচ্ছিল পৃথিবী, কিছুই যে ধরেনা তার গায়
বাক্যেরা 'বোধ' হয়,
পরিবাহী অনুভূতি বুকের গভীর ছোঁয়,

কপালে হাওয়ার আল্পনায়
পাখি হয় বিমূর্ত কেশ, কবিতার ঝোড়ো আবহাওয়ায়

কবির মৃত্যু হলে নিচ্ছিদ্র মেঘ, বৃষ্টিবিহীন
শিখি ভাষা
যতদূর হৃদয় হেঁটে যায়
রক্তিম আকাশের নীচে
অতঃপর; আবেগের নিটোল বিন্যাস

শিরোনামের কুয়াশায় নিখোঁজ ছিলাম মুহূর্ত কয়েক
তবু শেষ ঢেউ তুমুল উঁচুতে

এক একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য শব্দকবিতা

কবিরা জেগেছে বলে
প্রেম ফিরে পাবে তার
হারানো আস্তাবল
ক্ষিধে খুঁজে খুঁজে শৃগালকে পাবে
সিংহ খুঁজে খুঁজে শিকার কুড়াবে
তারপর পাঠক আর মৌমাছি
ঠিক ঠিক মেলাবে
ঠিক ঠিক মেলাবে

স্খলন আসবে, সংকট আসবে
দ্বিধার কারুকাজ রাজত্ব গড়বে
এইসব ঘুম, এইসব জাগরণ বিষ
মাছের শেকলে বাঁধা কুয়াশার শিস
নদীর অধরে ঘুম, প্রাকৃত জোছনার সাধ
সোনারোদ স্নায়ুকোলাজ বুদবুদ
প্রতিটি শব্দ এক একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য শব্দকবিতা

তোমাতে প্রতি-বাদ দিই প্রিয়তম মানুষ

দেখা হবে ভেবে ট্রাম ভুলে যাই,
গার্ডার গুলো খুব কড়া, ছাদ গিলে আছে
নেমে যেতে হবে, না নেমেই হয়তোবা,
অথবা বিশ্বাস আবারও এক শূন্য বাকশের নাম

বাইনারি ভুল, বায়োনিক খেসারত
ডানায় কাজল দিতে হয়
শব্দের সন্ত্রাসে বাক্যরা রক্তাক্ত, হয়তোবা সময়ের দাবী !
এই ঘোর ছিঁড়ে ছুঁড়ে পড়ি
ধুকধুকে হরিণ
এরপরও সেই সব অমানুষ, যারা পারে
আকার কী তবে বাড়ি যাবে !
সাফারি-সাফারি
শেষে ক্লান্তি-শিশির জমে
আজুর-ভেলভেট লনে
শেষ দাবানলের আগে
থামলেই পৃথিবী থেমে যায়,
কখনও কখনও সময়ও, কে নেবে নিঃশ্বাস!
চাঁদভরা ঝিঁঝিঁ রাত, পুঁথির কণ্ঠে ফোটে ছন্দের প্রাচীন আবাদ।

চকমকি হাড়ের বনে মেঘের আগুন

বড়ো বাস উড়ে যায়, রাস্তাটা শান্ত
এই অনিশ্চয়তাটুকু আছে বলেই আঙুল নাড়াই
প্রাকৃত আকুতি গভীরে হানে শর
কখনও সে গাঢ় ইট, দুর্বোধ্য ফসিল।
পৃষ্ঠায় কোণায় বিষ, অদৃশ্য খাঁচা
প্রকৃত অপচয়, বিচ্ছিন্ন সন্ধি। উপসংহারটাই ধোঁকা
স্পষ্টপাঠ, ঘামেদের অক্ষরের
অন্য-স্বাদে সিলাকিত জিব, ধারালো নখর কাঁপে সূর্যমূখীতে
অপেক্ষা জীবনের অন্যতম নাম, অপেক্ষাই ইতিহাস
অপেক্ষাই গড়ে দেয় আকার অস্তিত্বের, মানুষের ভেতরে মানুষের
অতীতের নিঃশ্বাস পড়ে
ক্রমাগত ভাঙ্গন বিহারে
বাক্যরা ক্রমশঃ গাঢ়
বিষাদের উচ্চারণ তীব্রতর
ঝরে পড়া বিভিন্ন পথে, কেবল বাতাসে

জীবন মানে তো
এক জীবনকে হাতে ধরে আরেক জীবনের হাতে তুলে দেয়া
অধিক বিয়োগে ভাগ হয় জীবন
তারপর চকমকি হাড়ের বনে মেঘের আগুন।

ভেজা ইস্পাত ভ'রে ওঠে ফভিজমে

আকাশের হাজার হাজার ফোঁটা কাঁধে নিয়ে ঘরে ফিরে
ভিজে গেছি আর
চশমার কাঁচে বৃষ্টির বিশেষ দৃশ্যায়ন
পৃথিবী যথেষ্ট বাস্তব এবং স্বপ্নময়
শূন্য কিংবা অসীম

বেলাভূমি
ছিমছাম হেঁটে হেঁটে সুদূরে রেলপথ, রোদের ডগায়
ভেজা ইস্পাত ভ'রে ওঠে ফভিজমে
অথবা যুক্তি বানাই
প্রাকৃত মেঘের ভেতর, বিশুদ্ধ বিদ্যুৎ
কোটি কোটি ঘুম আর স্বপ্নের করাত
পুরাতন ধারাপাত
অতসীর রিং প'রে নাচে
কালচে রিংরো, হলুদ ডাবের পাশে
অন্য অন্য ভাষারা কেবল পৃষ্ঠা খোঁজে
ভেসে থাকুক সময়ের সখা

ধীরে ধীরে বড় হয়ে একদিন
ইটে বসে
তুমুল খিচুড়ী খাবো

নক্ষত্রপতনের রাত

বেলভ্যু থেকে একটি হাওয়া উঠে এলো
ম্যানহাটনের আকাশকে ছুঁলো,
কী যেন বড্ড এলোমেলো
সে কার শেষ নিঃশ্বাস !
অবশেষে এলো বুঝি নক্ষত্রের রাত, নক্ষত্রপতনের রাত
আজ রবিবার নয়, তবু হোক রবিবার

সেইসব সরল কৌতুকের প্রকৃত মানে, যাবতীয় অভিমান মেঘ
গভীর শব্দগুলো, যদি কোনদিন সত্যি বুঝতে পারি
আড়ালের কথাটুকু যদি ধরতে পারি মন-মাথায়, আগামী কোন শতাব্দীতে
আমরা জানিয়ে যাবো প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে
কৃতজ্ঞতা হে অগ্রজতর

 

সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১২

পৃথক জ্বলন্ত অক্ষর


পৃথক জ্বলন্ত অক্ষর, পারবেনা
অভিমানে তার সেতারের তার
জীবনের ভরাট প্রতিবাদে ধরে ক্ষয়, বিস্ময় বিস্ময়
আকাবাঁকা বোধের শাখায় মৃদু দোল, পৃথিবী আকুল
তবে কি অন্ধত্বের সাধ টুপটাপ জমে ওঠে
ভরে ওঠে আবেগী সন্ধ্যায়, ভাটির আশায়

সব কথা না লিখলেও হয়
কবিতার ভেতর 'প্রেম' লিখতে ইচ্ছে
কেউ একজন বুঝে গেছে, সেই সুখে
ছন্নছাড়া জল দেবে মেঘ
ঝরণা কিংবা নদীবুকে
আয়না-দুপুরে, দূর থেকে ডাক দিল শঙ্খচিল,
সংঘ হতে
এইবার বিনুনীতে কাঁটাফল, সহজ-সরল
তারিখ দৌড়ে যায়, মায়ান ক্যালেণ্ডারে
ঘোরলাগা মস্তিষ্ক জানায় আমার একান্ত উচ্চারণ -
বাঁচো, বাঁচাও, স্বপ্নকে শরীর দাও
যুক্তিবাদীর প্রবেশ, ধানশালিখের ছুটি
শহরের
বুক বেয়ে
একদিন
রক্ত গড়াবে গাঢ়

আয় আয় সুখ-দুঃখের প্রচুর ঊর্ধ্বে, প্রাচীর শুকোবি
ফেরায় এমন সাধ্যি কি আছে !

সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১২

সত্যি সত্যি ভিজে যাক সব

মায়াবৃক্ষ বিনীত
এক ঘুঘু আরেক ঘুঘুর মাথা ঠুকরে দেয়, তারা রান্না হয়ে যায়
তবু বেঁচে থাকা দরকার

সত্যি সত্যি ভিজে যাক সব
দূর্বারা ভয়ানক রক্তিম, হাওয়া থেমে যেতে যেতে স্বেচ্ছাচারী হয়
ভীষণ গুরুতর ব্যাপার

সময় সাক্ষী থাকে দগ্ধযুগের
স্বচ্ছ-মরণ কিংবা ঘোলা-মৃত্যু, ভেসে যাবে নিশ্চয়ই
নিঃশ্বাস চেপে একসময় বাসে উঠে একাকার
কিছুটা স্বেচ্ছাচারী কিছুটা অহংকারী
খণ্ডিত ঝুম বৃষ্টি এলে
ক্লাইমেক্স চাই, ঢের আছি বাকি

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১২

কগহুইল ফিরে আসে ভেতর বারান্দায়

শুরুতে তোর নাম দিতে চাই, নিবি !
চূড়ান্ত প্যাকেটজাত, বোতলজাত, রুলার-কম্পাসে পরিধি
কগহুইল ফিরে আসে ভেতর বারান্দায়

এতটা তীব্র নই যে তুবড়ে যাবো,
মাথার ভেতর দাগ, চুঁইয়ে চুঁইয়ে গভীরে হীরকনগর;
এ একধরণের চোখ বন্ধ করে থাকা,
বোধ বলে রেলের পথ কত দ্রুত ! পতঙ্গের চোখে
টের পাইনা বলেই বুঝি
পুড়ে যায় শিশিরের পুঁথি
আগুন কামড়ে ধরে,
দাউদাউ পুড়ে যায় বরফের দাম
শেরপা শব্দে লেখো পিলপিল
ছুরির দাঁতের মত ছোঁয়া
কী নিষ্পাপ বাক্যরা ! এখানেই কি শুদ্ধ হবো !
পাণ্ডুলিপি তার পাণ্ডুর ডানা ঝাপটায়
শিশির মরে যায় অবেলায়
শূণ্যই তবে অসীম !
সরল উচ্চারণে বুক কেঁপে ওঠে
আজ রাতে কবি অক্সিজেন, কবি জলজ

______অ_
জুন, ২০১২