বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১১

রীতু :: প্রত্যাবর্তন (পাঁচ)

এক মনস্তাত্বিক আণবিক বোমা
কেউ একজন করেছিল আবিষ্কার
করে প্রচুর আয়োজন
আগুনের গোলা দেখেছিলাম বড় ভেতরে
আর ধীরে ধীরে পুড়তে পুড়তে পুড়তে
পুড়তে পুড়তে পুড়তে..
না না .. শেষ হলোনা
বড় দাউদাউ ভেতরবাড়িতে আজো
চোখে জল আসেনা
তাই দ্বিধা হয়, কতটুকুইবা দহন আর..

তুমুল হাওয়ার মধ্যে
চোখ রাখি খোলা,
বড় সাধনা করে চোখের জলে
ভাসাই অবশিষ্ট শরীর
আয়নার সামনে দেখাতে নিজেকে
"দ্যাখো ছোঁড়া.. তুমি দুঃখী..."

আমি দেখেছিলাম দুটো কবুতর
পুরনো কড়ইয়ের উঁচুতে বেয়ে বেয়ে
নিজেদের ওরা কতটুকু বেসেছিল
বোঝা যায়নি,
জৈবিক গবেষণার বিষয় ।।

৬.৮.২০১০

বুধবার, ২৫ মে, ২০১১

সিগ্রেট হয়ে যাবার পর

দু দু'বার হাতের উপর ম'রে গেছি
গাড়ীটাও ছেড়ে দিয়েছি
সেই বসেই আছি, বসেই থেকেই শুনি
বুকের মধ্যে গীটারের কর্ড ছিঁড়ে যায়;

সিগ্রেট হয়ে যাবার পর
এখন কিছুটা বুঝি যাতনা বা সুখ, আর -
অবশিষ্ট শরীর গড়াতে থাকি,
লোকজন পিষতে পেরে খুশি
প্রয়োজন যেহেতু শেষ
আর কী কাজ আমার !

২৫.৫.২০১১

রবিবার, ২২ মে, ২০১১

রোদমানুষ

আকাশপাত্রে যদি রাখো বিন্দু বিন্দু ভোর
দিয়ো শরীর ভরা চিঠি, তাকিয়ে আছি
সবটা ধুইয়ে দেবার পর, কিছুটা সময় রেখো
দেহ থেকে ছিঁড়ে নিয়ো মামুলি আকুতি,
সে থাকে বোধের বাইরে, কালোর শূন্যতে।

অনেকটা চাবুক এই রাত, ছাপানো কাগজের জাহাজে
টানটান পৃথিবীর আগলানো রত্নকে হাঁটিয়ে
পার করো, অগণিত গাণিতিক দাঁত, হাত, উরু
পৃথিবীকে ছারখার করে -
ওরা যে ডুবে আছে কৃত্রিম কাদায়,
ওদের জিহবা, বেড়ে চলে আঁটসাট পোশাকের বাইরে,
ওরা ছেপে দিতে চায় দুই আকাঙ্ক্ষার সীলমোহর
অসংখ্য জীবন, এভাবেই হনন, অকারণ;

প্রচুর প্রচুর নুন, ক্লান্ত পৃষ্ঠার মাত্রা নির্মাণ
ভান আর ঋণের আস্ফালন, কব্জিতে প্রশস্ত ব্যথা
যদি এই হয় পথ তুমুল লাফিয়ে পিষে যাবো তথাগত যা-কিছু,
মাংসের ঝাল তেঁতে আগুন করেছে,
বাঁকানো দেহে প্রবল জ্যামিতি, ভীষণ লাল
জৈবিক সুতোতে ক্রমাগত বাণিজ্যিক গিঁট আর রক্তের টুকরো;

মানবিক পা কেবল পালাতে চায়, একটু ঘুমোতে চায়,
যদি অন্ধকার থেকে একটু আলোতে উঁকি দিই
একটু আলোতে উঁকি দিই যদি অন্ধকার থেকে
খুব কাছে মাঠের শরীর,
দূর্বায় গেঁথে যাব পর্যাপ্ত সুখে,
ভ'রে দিয়ো, হতে দিয়ো রোদমানুষ
ভ'রে দিয়ো, হতে দিয়ো রোদমানুষ ।।

২২.৫.২০১১

আমাদের বারান্দায় আকাশ পাওয়া যায়

আমাদের বারান্দায় আকাশ পাওয়া যায়
ভালবাসার গন্ধে মাতাল, ভিজে থাকা যায় ত্রিমাত্রিক জোৎস্নায়
অবেলার অটিস্টিক বাসনায় কাত করে শরীরের গবলেট
যৌথ উঠোনে শুকায় আদরের আচার, সুখ,
কেননা স্বপ্নের জানালার গ্রীল কেটে এনেছি আলোর ফুল
দায়ভারকে পাঠালাম ছেলেমানুষীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ছুটিতে;
সংসারের মায়াবী পোস্টারে কোলাজ করছে দোষ - পাপ
এরপরও এক কাপ কড়া চুমুকের আশ্বাসে লাগাতে পারি
সবক'টা যন্ত্রণার বোতাম;

পরিপক্ব সহবাসে, ভেজানো দরজাকে বলেছি আড়াল টানতে,
ভালবাসার তো আর ক্যালেন্ডারে ভয় নেই বরং জমে ওঠে পৃষ্ঠা শেষে
ঠোঁটে মাখানো ভালবাসার লহমা আবেগের কণ্ঠনালী বেয়ে
উর্বর পেটে বয়ে আনে ভবিষ্যতের শরীর;

তার বিশ্বাসে সম্পূর্ণ বাঁচা যায়
তার হাতে রাখা যায় সম্ভাবনার শব্দগুলো
আর যা কিছু সব ।।

২০.৫.১১

অটিস্টিক হাত - ২

মাধ্যমিক জোৎস্না,
আবার বাড়িয়েছি অটিস্টিক হাত
সাঁড়াশির তলায় উৎফুল্ল তুমুল
প্রতিফলন এমন যাতে খুব বাঁকা লাগে
একা লাগে,
বিছানার কোণ পুরাতন রক্তে
কবেই বলতাম
ঢিল দেবো ধরিস না, মন -
আমার থেকে ঢের ঢের ভাল,
বলতে চাচ্ছি কেবল কালো আর কালো ছাড়া
ঝড়কেই বলি ঝড়ের গল্প বরং
পৃথিবীটার বাকী সব বোধ বলছে , ছাই -
ঘুরিয়ে নিয়েছি কাঁধ,
নির্ভরতায় কাঠপেন্সিলের আধো উন্মাদ দেবী
ঘুমকে ঢেকেছে ভয়ংকর
তার চুল ছুঁতে পেরেছিলাম কি-না -

সবটুকু বৃষ্টিতে
ঠিক অমন করেই ভিজে আছি ।।

২২.৫.২০১১