রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১২

তীব্র ঘচটুতম্প

তোরা প্লাস্টার খাস
ঘেন্না কমাস
স্কুলে যাস

তোদের লেজ ভালো না
বার্লিনের বন ভাল

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১২

সবুজ পিলাস্টার

কোন এক পাথুরে যুগ ছিল
যখন প্রচুর ভারে নুয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে আকাশ দেখতে হতো,
আজ বহু শতাব্দী পর এত বেশী নির্ভার যে
ধনুকের মতো বেঁকে
আকাশকে বুকে ধরা যায়
সবুজ পিলাস্টার
আমার জমানো সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেছে বারোয়ারি দোকান
নীল আর গোলাপী তাকের ভীড়ে -

কতোরকম পৃথিবী আমাদের ।।।

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

তুই আয় [২]

বিধাতার কলতলায় নাঙা হয়ে নৃত্য দিবি
যৌথ ভাটে পিষে যাবে লহমা লহমা ময়দান
তুই তোর আঙুল কাটবি আমায় দিবি বাজাতে
বেঁধে ফেলে শুয়োরের লেজ শ্বাস বন্ধ করে -
নাক কেটে দু'ভাগ করে, লিখে রাখব ভুলে ভরা নামতা
তুই থেঁতলে যাবি তেঁতুলের আচারে
মাখামাখা তেলে ইতিহাস পাঠ পিঠ চুলকে
বিব্রত দেবতার মতো সরে যাবে উড়ে যাবে
তোর বুক খুলে রেখে দেবো
তুই কাদাকাটা ভুলে উড়ে আয়
ফড়িঙের সুতো খুলে দেবো, বাঁধবোনা আর
দুপুর ঘুমিয়ে যায়, তুই আয়
।।।

_____অ_
৮.৪.২০১২

তুই আয় [১]

লিখে লিখে একদিন তুই বড় হবি খুব
তোর জুতোতে পণ্ডিচেরি এলগরিদম বিলবোর্ডকে চুমো খাবে,
তোর কপাল ফেটে লাল বেলুন উড়বে ব্রিকলেন-বাতাসে
তুই তোর রেইনকোট খুলে ফেলে চলে আয়,
তোকে নিয়ে সিনেমা বানাতে যাব হংকং;
চলে আয় আমার বাড়ি
তোকে খাওয়াবো ডাকাতি করা রাম,
আমার বিষণ্ন পাখনায় তুই রক্তবমি
তোর যাদুর জুতোজোড়া আমায় দিস
আমি তোকে কাদা দেবো উরুতে
তুই চলে আয় খুব রাতে
খুন করবো তোকে।।।


_____অ_
৮.৪.২০১২

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

পৃথিবী নিঃশ্বাস পাক

পৃথিবী
জানলা খুলেছিল সবার আগে
আজ
অতিকায় ধ্বংসস্তুপ তার আঁধারে
পৃথিবীর দেয়ালে
নখের আঁচড়
ভেতর পৃথিবীর স্ফটিক শরীরে দাগ
পাথুরে রুমাল
যন্ত্র ধরেছে,
ঝুলছে আধুনিক গাছে
পথ আঁকা ছিলো তাদের আবীরে
যারা যুদ্ধে যেতো

পৃথিবী নিঃশ্বাস পাক
ধীরে ধীরে হেঁটে যাক মিষ্টি বিকেলে
পৃথিবী নিঃশ্বাস পাক
শ্যামা মেয়ে উড়ে যাক
পৃথিবী ঘুরে ঘুরে তারপর,
মানুষের দেহের মতন,
আরো কিছু এলোমেলো গড়নের সাথে,

চারকোল প্রিয়তমা চারনিনা
ধোঁয়াটে নরম রেখা আকাশে-কাটিঁজে
পৃথিবী শিল্প পাক
কাটাকুটি সভ্যতা তীব্র জাহাজে
 

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

নস্টালজিয়া বেঁচে থাক





বুক থেকে বুকে ইতিহাস বাঁচে কালের শরীর বেয়ে
ভালোবাসাবাসি যুদ্ধ-বিবাদ চেতনার পথ চেয়ে
কত দৃপ্ততা অপচয় হলো, কত গুপ্ততা ইতিহাস হল
কত কবিতারা ধুয়ে-মুছে গেছে, কত দীপাবলী বৃথা নিভে গেছে
মেঠোপথ থেকে রাজপথে -
নস্টালজিয়া শুয়ে থাক, মিলেমিশে থাক ধুলো আর লাল
নস্টালজিয়া পড়ে থাক, থাক পড়ে থাক থাক চিরকাল
নস্টালজিয়া শুয়ে থাক, মিলেমিশে থাক ধুলো আর লাল

ধীরে ধীরে ঘাম বুকপকেটে চিঠির ভাঁজকে করে অসহায়
দাঁড়ি-কমারাই স্বজনের মতো কোমল চরণে তফাতে দাঁড়ায়
নস্টালজিয়া মুছে যাক, শিশির-সঙ্গী দুপুর হাওয়ায়
নস্টালজিয়া মরে যাক, মরে পড়ে থাক ছাউনী ছায়ায়
নস্টালজিয়া মুছে যাক, শিশির-সঙ্গী দুপুর হাওয়ায়

সভ্যতা তার দাঁতাল হাসিতে তুমুল উঁচুতে
আকাশকে তুলে খুবলে খুবলে আছড়ে নিংড়ে
এলোমেলো আর এলোমেলো ক'রে
ভগবানগুলো মানুষকে ধরে শুষে শুষে পিষে
ক্রমশঃ বিশাল এবং বিশাল, ক্রমশঃ অসীম

ধীরে ধীরে ধীরে রক্তবর্ষা ছিঁড়ে-খুঁড়ে খেলো জন্মতারিখ
দমে গেলো যত মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়াবার স্পর্ধা সঠিক
নস্টালজিয়া টিকে থাক শহরের শব জমানো রোদে
নস্টালজিয়া ভেসে থাক বুড়িগঙ্গার সাথে
নস্টালজিয়া টিকে থাক শহরের শব জমানো রোদে
নস্টালজিয়া উড়ে যাক, উড়ে উড়ে যাক, উড়ে উড়ে যাক

নস্টালজিয়া বেঁচে থাক...